কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে এক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্রীদের শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় বিক্ষুব্ধ অভিভাবক ও এলাকাবাসী প্রধান শিক্ষককে মারধর ও লাঞ্ছিত করেছেন।
গতকাল সোমবার সকাল ১০টার দিকে উপজেলার মরিচা ইউনিয়নের বৈরাগীরচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত শিক্ষক হলেন ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কামাল হোসেন।
স্থানীয় অভিভাবকরা জানান, কয়েক দিন ধরে চতুর্থ শ্রেণির ১০-১২ জন ছাত্রীকে ক্লাস চলাকালে কাছে বসিয়ে তাদের শরীরের স্পর্শকাতর স্থানে হাত দিতেন কামাল হোসেন। একই সঙ্গে তিনি ছাত্রীদের হিজাব খুলে স্কুলে আসার নির্দেশ দিতেন বলে অভিযোগ ওঠে।
ছাত্রীরা বিষয়টি পরিবারকে জানালে অভিভাবকেরা ক্ষিপ্ত হয়ে গতকাল সোমবার সকালে বিদ্যালয়ে গিয়ে প্রধান শিক্ষককে কক্ষে অবরুদ্ধ করেন। পরে মরিচা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন বিএনপি সভাপতি সাইদুর রহমান তাকে অফিসকক্ষ থেকে বের করে মোটরসাইকেলে নেওয়ার চেষ্টা করলে উত্তেজিত জনতা শিক্ষকের ওপর হামলা চালায়। একপর্যায়ে কামাল হোসেন জনতার হাত থেকে বাঁচতে দৌড়ে পালিয়ে যান।
অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক কামাল হোসেন দাবি করেছেন, পারিবারিক শত্রুতার জেরে তার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ আনা হয়েছে। তবে ঘটনাটি স্থানীয়ভাবে আলোচনা করে সমাধানের চেষ্টা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
এ বিষয়ে দৌলতপুর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. মোস্তাক আহমেদ বলেন, ‘ঘটনাটি শুনে কর্মকর্তাদের পাঠানো হয়েছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে। তদন্তে অভিযোগ প্রমাণিত হলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
অন্যদিকে দৌলতপুর থানার ওসি মো. সোলাইমান শেখ জানান, ফোনে অভিযোগ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ঘটনার পর এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। স্থানীয়রা অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষকের দ্রুত ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন।