মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. ইসরাইল হোসেন দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই জেলার প্রশাসনিক কার্যক্রমে নতুন গতি সঞ্চার করেছেন। স্বচ্ছতা, দুর্নীতিমুক্ত সেবা এবং জনকল্যাণ নিশ্চিত করতে তিনি দিন-রাত কাজ করছেন।
দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই তিনি সাধারণ মানুষের কাছে নিজেকে সহজ-সরল ও সদালাপী একজন মানবিক প্রশাসক হিসেবে উপস্থাপন করেছেন। সপ্তাহে একদিন ‘গণশুনানি’ আয়োজন করে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত জনগণের অভিযোগ শুনে সমাধান দেন। তার দরজা সাধারণ মানুষের জন্য সবসময় খোলা থাকে।
সম্প্রতি জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে মৌলভীবাজারে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ, কোটি কোটি টাকার খাস জমি উদ্ধার, অবৈধ বালু ব্যবসা ও ইটভাটা নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়েছে। একই সঙ্গে ডিজিটাল সেবা, শিক্ষা খাতে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা, ভূমিসেবা সহজীকরণ, কৃষি ও পল্লি উন্নয়নসহ নানা খাতে দৃশ্যমান উন্নয়ন হয়েছে।
গত ১৪ সেপ্টেম্বর জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে ভূমিহীন ৬৭ পরিবারকে কৃষি খাস জমির দলিল হস্তান্তর করেন তিনি। এ পর্যন্ত ১০৯ জন ভূমিহীনকে তালিকাভুক্ত করা হলেও প্রথম ধাপে ৬৭ পরিবার জমির দলিল ও খতিয়ান পেয়েছে। দলিল পেয়ে অনেক উপকারভোগী আনন্দাশ্রুতে ভেঙে পড়েন।
জেলা প্রশাসক জানান, জনগণের দোরগোড়ায় সেবা পৌঁছে দিয়ে সুশাসন প্রতিষ্ঠাই তার মূল লক্ষ্য। তিনি বলেন, ‘প্রশাসন জনগণের সেবক, এই ভাবনা থেকেই আমি কাজ করি। মানুষের সেবায় থাকতে পারাই আমার সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি।’
মৌলভীবাজারের সচেতন মহল বলছেন, জেলার উন্নয়নে জেলা প্রশাসকের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। দক্ষতা, মানবিকতা ও দৃঢ় নেতৃত্বের কারণে জেলা প্রশাসক মো. ইসরাইল হোসেন এরই মধ্যে জনমনে আস্থা ও শ্রদ্ধা অর্জন করেছেন।
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন