রবিবার, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


মুজিবুর রহমান রঞ্জু, কমলগঞ্জ

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২১, ২০২৫, ০১:১৬ এএম

জনবলসংকটে চিকিৎসাসেবা ব্যহত

মুজিবুর রহমান রঞ্জু, কমলগঞ্জ

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২১, ২০২৫, ০১:১৬ এএম

জনবলসংকটে চিকিৎসাসেবা ব্যহত

*** কমলগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স
*** নতুন ভবন হলেও বাড়েনি সুযোগ-সুবিধা
*** ময়লা-আবর্জনার দুর্গন্ধ বিপাকে ফেলছে রোগী, স্বজন ও দর্শনার্থীদের
*** জনবল না থাকায় চিকিৎসা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন চিকিৎসকরা

শয্যা সংখ্যা ৩১ থেকে ৫০-এ উন্নীত করে নতুন একটি ভবন নির্মিত হলেও সুযোগ-সুবিধা বাড়েনি কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের। নিয়মিত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার অভাবে ময়লা-আবর্জনার দুর্গন্ধ বিপাকে ফেলছে রোগী, স্বজন ও দর্শনার্থীদের। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ভেতরে প্রবেশ করতেই চোখে পড়ে ছড়িয়ে থাকা ময়লা-আবর্জনা। সিঁড়ি থেকে শুরু করে ওয়ার্ড ও জানালার পাশে জমে আছে পলিথিন, পরিত্যক্ত খাবার, ব্যবহৃত সিরিঞ্জসহ নানা আবর্জনা। এসব ময়লা ফেলার জন্য নির্দিষ্ট ব্যবস্থা না থাকায় রোগী, স্বজন ও নার্সরাই জানালা দিয়ে বাইরে ফেলছেন, ফলে নিচে তৈরি হয়েছে ময়লার ভাগাড়। জরাজীর্ণ ভবনের ছাদ দিয়ে পড়ছে বৃষ্টির পানি, ধসে পড়ছে পলেস্তারা। হাসপাতালজুড়ে রোগী ও তাদের স্বজনদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।

মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ ৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে কাক্সিক্ষত সেবা পাচ্ছেন না চিকিৎসা নিতে আসা রোগীরা। নামে ৫০ শয্যা হাসপাতাল হলেও প্রয়োজনীয় জনবল না থাকায় রোগীদের চিকিৎসা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে চিকিৎসকদের। হাসপাতালের ১৩৬টি পদের মধ্যে কর্মরত আছেন ৮৬ জন। শূন্য রয়েছে ৫০টি পদ। সামান্য রোগ নিয়ে আসা রোগীদের চিকিৎসার জন্য পাঠানো হচ্ছে জেলা হাসপাতালে। চিকিৎসক ছাড়াও বিভিন্ন পদ শূন্য থাকায় সেবা নিতে আসা রোগীরা চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। ৭ বছর আগে হাসপাতালটি ৫০ শয্যায় উন্নীত হলেও প্রয়োজন অনুযায়ী জনবল নিয়োগ হয়নি।

কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সমস্যার কথা শুনে ও আসন্ন সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে গত রোববার দুপুরে তিনি এনসিপির স্থানীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে হঠাৎ করেই পরিদর্শনে আসেন জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সদস্য সচিব প্রীতম দাশ। কমপ্লেক্সটি ঘুরে দেখেন এবং রোগী, তাদের স্বজন ও চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি।

সাংবাদিকদের প্রীতম দাশ বলেন, কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রতিদিন যে সংখ্যক রোগী আসেন, তার তুলনায় চিকিৎসকের সংখ্যা অনেক কম। পরিছন্নতাকর্মীও অপর্যাপ্ত। ৪ লাখ মানুষের সেবা দেওয়ার জন্য মাত্র ৫০ শয্যার এ হাসপাতালে পর্যাপ্ত জনবল নেই। এতে চিকিৎসাসেবার মানও মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা বিভিন্ন সময় শুনে আসছি, এ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রোগীদের দুর্দশার কথা। তারা নানাভাবে আমাদের জানিয়েছে। এটি আমাদের প্রতিষ্ঠান। আমাদের ভ্যাট ট্যাক্সের টাকায় চলে। সুতরাং এখানে যারা সেবাদান করছেন তাদের সব সময় মনে রাখতে হবে, তাদের বেতনটা জনগণের টাকায় হয়। আমরা এখানে এসে যেটা দেখলাম ডাক্তারসহ অন্যান্য চিকিৎসক স্টাফ তেমন নেই। পাশাপাশি আরেকটা জিনিস আমরা লক্ষ করলাম, এখানে বর্তমানে যে জনবল আছে, সেই চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে না। প্রতিটা ওয়ার্ডে যে পরিমাণ ময়লা-আবর্জনা পাশাপাশি ওয়াশ রুমে ঢোকা যায় না। রোগীরা এসে কী সেবা নেবে ভালো মানুষরাই রোগী হয়ে যাবে। যদি কোনো ব্যক্তি এখানে একটা রোগের জন্য চিকিৎসা নিতে আসেন, বাসায় গেলে পরবর্তী সময়ে আরও ৫টা রোগের ওষুধ নিতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘আমরা আশা করব জেলা সিভিল সার্জনসহ সব কর্মকর্তা এখানে এসে দেখে যান কী অবস্থা এই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের। আমরা এনসিপির পক্ষ থেকে দ্রুত স্বাস্থ্য বিভাগের সঙ্গে কথা বলব, যেন এখানে পর্যাপ্ত চিকিৎসক, নার্স, পরিছন্নতাকর্মী ও নিরাপত্তাকর্মী নিয়োগ দেওয়া হয়। স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, এই হাসপাতাল কখনো ঠিক হবে না। কারো নজর নেই এখানে।

কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার মোহাম্মদ মাহবুবুল আলম ভূঁইয়া জানান, প্রথম শ্রেণির ডাক্তার এবং কনসালটেন্টসহ ১৯টা পদ আছে। তার মধ্যে ৮ পদে লোক আছে। বাকিগুলো শূন্য রয়েছে। এ সমস্যাগুলো কয়েক দফা সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। শূন্যপদ পূরণ হলে এসব সমস্যা থাকবে না। তিনি কিছুটা ক্ষোভ প্রকাশ করে আরও বলেন, মৌলভীবাজার জেলার মধ্যে স্বাভাবিক সন্তান প্রসবে কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সবার ওপরে বিষয়টি সংবাদকর্মীরা তুলে ধরছেন না। তিনি মনে করেন সমস্যার পাশাপাশি এ অর্জন তুলে ধরলে সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ দ্রুত সমস্যা সমাধানের উদ্যোগ নেবেন।

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!