*** ঝুঁকি নিয়ে নৌকা করে নদী পারাপার
*** দৈনন্দিন ব্যবহার্য জিনিসপত্র ও কৃষিপণ্য আনা-নেওয়ায় চরম দুর্ভোগ
শেরপুর জেলার সীমান্তবর্তী নালিতাবাড়ী উপজেলার পোড়াগাঁও ইউনিয়নের চেল্লাখালি নদীর ওপর দিয়ে আমবাগান বাজার থেকে বাতকুচি যাওয়ার একমাত্র অবলম্বন ছিল বাতকুচি নামাপাড়া ঝুলন্ত লৌহার ব্রিজ। কিন্তু গত বছর ৪ অক্টোবর প্রবল পাহাড়ি ঢলে লৌহার ব্রিজটি পানির তোড়ে ভেসে যায়। ফলে গত এক বছর ধরে পোড়াগাঁও ইউনিয়নের আমবাগান, সমশ্চূড়া, ছাইচাকুড়া বাতকুচিসহ আশপাশের কয়েকটি গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ চরম দুর্ভোগে রয়েছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কয়েক বছর আগে এডিপির অর্থায়নে কংক্রিটের পিলারের ওপরে লৌহার অবকাঠামোতে প্রায় ২০০ ফুট লম্বা ব্রিজটি নির্মাণ করা হয়। মাঝে একবার পোড়াগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যোগে এ ব্রিজটি সংস্কার করা হয়েছিল। এখন ব্রিজের পিলারগুলো ছাড়া আর কোনো চিহ্ন অবশিষ্ট নেই। ফলে এ এলাকার বাসিন্দারা পোহাচ্ছেন সীমাহীন দুর্ভোগ।
স্থানীয় বাসিন্দা বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আসমত আলী বলেন, নদীর পূর্বপাশে আমবাগান বাজারে নিয়মিত আশপাশের কয়েকটি এলাকার প্রায় ৪-৫ হাজার মানুষ এ ব্রিজ দিয়ে যাতায়াত করে। এখন ব্রিজ না থাকায় একটি নৌকা দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে আমাদের চলাচল করতে হচ্ছে। এতে আমরা বয়স্ক ও রোগীরা খুবই কষ্টে আছি। ‘কারণ এ ব্রিজ দিয়েই পোড়াগাঁও ইউনিয়ন পরিষদে, বাতকুচি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পোড়াগাঁও বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও নন্নী মৈত্রী কলেজের অনেক শিক্ষার্থী চলাচল করে। তাই সরকারের আমি অনুরোধ জানাই ব্রিজটি পুনর্নির্মাণ করার।’
ওই এলাকার বাসিন্দা পোড়াগাঁও যুবসমাজের সভাপতি মারফত আলী শেখ বলেন, শুধু বাতকুচি গ্রামেই প্রায় ৩ হাজার মানুষ বসবাস করে। মানুষের দৈনন্দিন ব্যবহার্য জিনিসপত্র ও কৃষিপণ্য আনা-নেওয়ায় চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। একমাত্র অবলম্বন ব্রিজটি ভেঙে পড়ায় এখন নৌকায় ঝুঁকি নিয়ে আমরা যাতায়াত করছি। তাই আমাদের দাবি ব্রিজটা ফের সংস্কার করা হোক। এ ব্যাপারে নালিতাবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারজানা আক্তার ববির সঙ্গে কথা বললে তিনি জানান, বিষয়টি আমাকে কেউ অবগত করেননি। স্থানীয় বাসিন্দারা আবেদন করলে দ্রুত সময়ের মধ্যে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।