ঢাকা সোমবার, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

শেড নেই, মরিচায় নষ্ট হচ্ছে ট্রলি-ট্রাক্টর

দেওয়ানগঞ্জ (জামালপুর) প্রতিনিধি
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২২, ২০২৫, ০২:০৩ এএম
  • খোলা আকাশে পড়ে আছে কোটি টাকার যানবাহন
  • ৪ ট্রাক, ৩৫ ট্রাক্টর ও ১৯০ ট্রলি শেডবিহীন অবস্থায়
  • বছরে মাত্র ২-৩ মাস ব্যবহৃত হয় এসব যানবাহন

জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জে অবস্থিত জিল বাংলা চিনিকলে কোটি টাকার ট্রাক, ট্রাক্টর ও ট্রলি খোলা আকাশের নিচে পড়ে আছে। শেড না থাকায় দীর্ঘদিন ধরে অব্যবহৃত এসব যানবাহনে মরিচা ধরছে এবং যন্ত্রাংশ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।

চিনিকল সূত্রে জানা গেছে, এ মিলের আওতায় মোট ৫৯টি ইউনিট রয়েছে। এর মধ্যে মিলগেট বাদে ২৬টি আখ ক্রয় কেন্দ্র আছে। এসব কেন্দ্র থেকে আখ পরিবহনের জন্য ট্রাক, ট্রাক্টর ও ট্রলি ব্যবহার করা হয়। প্রতিবছর হেমন্তের শেষ থেকে শীতকাল, দুই থেকে তিন মাস মিলটিতে আখমাড়াই হয়। ওই সময় যানবাহনগুলো সচল থাকে। বছরের বাকি আট থেকে ৯ মাস সেগুলো অব্যবহৃত পড়ে থাকে।

পরিবহন প্রকৌশল শাখার তথ্যমতে, মিলটিতে রয়েছে ৪টি ট্রাক, ৩৫টি ট্রাক্টর এবং ১৯০টি ট্রলি। এর মধ্যে ট্রাক ও কিছু ট্রাক্টরের জন্য শেড থাকলেও বাকি সব যানবাহন খোলা আকাশের নিচে পড়ে আছে। সরেজমিনে দেখা গেছে, ট্রলি ও ট্রাক্টরের অনেকগুলো মরিচা পড়েছে, কিছু যানবাহনের পাশে আগাছাও জন্মেছে।

স্থানীয় বাসিন্দা সরিফুল ইসলাম সজীব বলেন, ‘যানবাহনগুলো শেডে রাখলে সেগুলোর স্থায়িত্ব বাড়বে। কিন্তু খোলা আকাশে থাকায় মরিচা পড়ছে এবং ধীরে ধীরে নষ্ট হচ্ছে।’

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন কর্মকর্তা-কর্মচারী বলেন, বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশন চাইলে যানবাহনের জন্য শেড নির্মাণ করতে পারে। এতে কোটি টাকার যানবাহন নিরাপদে থাকবে।

চিনিকলের পরিবহন প্রকৌশল শাখার ব্যবস্থাপক লিটন চন্দ্র দেবনাথ বলেন, ‘যানবাহনগুলো খোলা আকাশে থাকলেও নিয়মিত তদারকি করা হয়। শেড থাকলে অবশ্যই ভালো হতো।’

এ বিষয়ে চিনিকলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. আমিনুল ইসলাম জানান, ‘শেডঘর নির্মাণের মতো পর্যাপ্ত জায়গা মিলটিতে নেই। দেশের অন্যান্য চিনিকলেও একইভাবে যানবাহন খোলা আকাশের নিচে রাখা হয়।’