ঢাকা মঙ্গলবার, ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

যমুনার ভাঙনে বিলীন ২৫ বসতভিটা

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৩, ২০২৫, ০১:৩৮ এএম

*** হুমকিতে ৫টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও বহু ঘরবাড়ি

সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুরের চাঁদপুর এলাকায় যমুনা নদীর তীব্র স্রোত ও ভাঙনে প্রায় ২৫টি বসতভিটা নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। পাশাপাশি ভাঙন ঝুঁকিতে রয়েছে ৫টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও বহু ঘরবাড়ি। এতে এলাকাজুড়ে ভাঙন আতঙ্ক বিরাজ করছে।

গতকাল সোমবার দুপুরে সরেজমিনে দেখা যায়, কেউ ঘরের খুঁটি খুলছে, কেউ বা টিনের চাল সরিয়ে অন্যত্র নিয়ে যাচ্ছে। নারীরা বিছানাপত্র ও রান্নার জিনিসপত্র নিরাপদ স্থানে নিয়ে যাচ্ছে।

বৃদ্ধ আব্দুল মালেক ম-ল জানান, ৭৪ বছব বয়সে প্রায় ২৫ বার নদীগর্ভে চলে গেছে বসতভিটা। তবে এভাবে হঠাৎ করে যমুনার আগ্রাসী থাবায় ল-ভ- হয়ে যায়। এগুলো দেখলে কেউ স্বাভাবিক থাকতে পারবে না। বেশ কয়েক বছর ধরেই যমুনার নদীভাঙনে কয়েকশ বাড়িঘর নদীতে চলে গেছে। অবশিষ্ট এলাকা রক্ষায় কেউ এগিয়ে আসেনি।

এ বিষয়ে সদিয়া দেওয়ানতলা সংকরহাটি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুর রশিদ বলেন, ভাঙন এলাকা থেকে মাত্র ৫৫ মিটার দুরে হাই স্কুল কমপ্লেক্স ভবন। এ ছাড়া অন্তত ৫টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় হুমকিতে রয়েছে। কয়েক হাজার শিক্ষার্থীর শিক্ষা জীবন অনিশ্চিতের দিকে। দ্রুত স্থায়ী তীর সংরক্ষণে জিও ব্যাগ ডাম্পিং করা প্রয়োজন। ভাঙন অব্যাহত থাকলে স্কুলগুলো নদীগর্ভে চলে যাবে। সমাজ সেবক হাফিজুর রহমান, শিক্ষক ইকবাল হোসেন ও আব্দুল মমিন, শিক্ষার্থী মনিরুল ইসলাম জানান, নদীভাঙনের ভয়াবহতা দেখে আমরা হতবাক, চোখের সামনে কয়েকশ মিটার এলাকা বিলীন হয়ে গেছে। প্রায় ৩০টি বসতভিটা নদীতে চলে যাওয়ায় আমরাও আতঙ্কিত। ক্ষতিগ্রস্ত সকল অসহায় পরিবারকে বিশেষ সহায়তা দেওয়ার দাবি জানাই।

এদিকে ভাঙন এলাকা পরিদর্শনে এসে সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মোহাম্মদ পারভেজ বলেন, প্রায় ৩০০ মিটার এলাকা ও বেশকিছু বসতভিটা নদীতে বিলীন হয়েছে। দ্রুত জিও ব্যাগ ডাম্পিংসহ ভাঙন রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।