ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

বরখাস্ত অধ্যক্ষের চেয়ার দখলচেষ্টা

মিঠাপুকুর (রংপুর) প্রতিনিধি
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৫, ২০২৫, ০১:৫৩ এএম
  • ২৩ জুন অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে সাময়িক বরখাস্ত হন অধ্যক্ষ মাহেদুল আলম
  • ১৫ সেপ্টেম্বর হঠাৎ সাঙ্গপাঙ্গ নিয়ে গিয়ে চেয়ারে বসার চেষ্টা করেন
  • ইউএনও বিষয়টি জানার পর আলটিমেটাম দিলে তিনি লাপাত্তা হন

রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার পায়রাবন্দ বেগম রোকেয়া স্মৃতি গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজের বরখাস্ত অধ্যক্ষ মাহেদুল আলম হঠাৎ সাঙ্গপাঙ্গ নিয়ে প্রতিষ্ঠানটিতে গিয়ে চেয়ারে বসার চেষ্টা করেছেন। চলতি মাসের ১৫ সেপ্টেম্বর দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। তবে প্রতিষ্ঠানের সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা  বিষয়টি না জানায় পরবর্তী সময়ে তার আলটিমেটামে লাপাত্তা হয়ে যান বরখাস্ত এ অধ্যক্ষ।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে অধ্যক্ষ পদে দায়িত্ব নেন মাহেদুল আলম। স্থানীয় আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের এক নেতাকে সভাপতি করে দীর্ঘদিন প্রতিষ্ঠানটি নিয়ন্ত্রণ করে নিয়োগ বাণিজ্য, অর্থ আত্মসাৎ, ভুয়া সনদ ব্যবহার, পরীক্ষা কেন্দ্রে নকল সরবরাহ ও প্রাণনাশের হুমকিসহ নানা অনিয়মে জড়িয়ে পড়েন তিনি। অভিযোগের ভিত্তিতে চলতি বছরের ২৩ জুন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও প্রতিষ্ঠানটির সভাপতি প্রজ্ঞাপন জারি করে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করেন। তার স্থলে দায়িত্ব দেওয়া হয় সিনিয়র শিক্ষক রাজ্জাকুর রহমানকে।

তবে বরখাস্তের পরও ১৫ সেপ্টেম্বর হঠাৎ প্রতিষ্ঠানটিতে গিয়ে নিজের চেয়ারে বসেন মাহেদুল আলম। বিষয়টি জানার পর ইউএনও আলটিমেটাম দিয়ে তার কার্যক্রমের কারণ জানতে চান। এরপর থেকে তিনি আর বিদ্যালয়ে আসেননি।

প্রতিষ্ঠানের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ রাজ্জাকুর রহমান বলেন, ‘হঠাৎ এসে তিনি চেয়ারে বসেন। বিশৃঙ্খলা এড়াতে আমরা বাধা দিইনি। এরপর থেকে তিনি আসেননি।’

কয়েকজন শিক্ষক অভিযোগ করেন, বরাবরই রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে প্রতিষ্ঠান নিয়ন্ত্রণ করেছেন মাহেদুল আলম। এবারও গায়ের জোরে দায়িত্ব নিতে চাইছেন, যা বিদ্যালয়ের শৃঙ্খলার জন্য হুমকি।

এ বিষয়ে প্রতিষ্ঠানের সভাপতি ও ভারপ্রাপ্ত ইউএনও মুলতামিস বিল্লাহ বলেন, ‘বরখাস্ত অধ্যক্ষ হঠাৎ এসে দায়িত্ব নিতে পারেন না। তার বিরুদ্ধে তদন্ত চলমান। নিয়ম ভঙ্গ করলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

প্রতিষ্ঠানে গিয়ে বা একাধিকবার ফোন করেও মাহেদুল আলমের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। একবার ফোন রিসিভ করে তিনি শুধু বলেন, ‘আমি ঢাকায় আছি’ এরপর আর কোনো জবাব দেননি।