দশমিনা উপজেলায় তেতুলীয় ও বুড়াগৌরাঙ্গ নদীর অভয়াশ্রম এলাকায় নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মা ইলিশ শিকার করায় পৃথক অভিযানে ১০ হাজার মিটার জাল ৪টি নৌকা ও ১০ কেজি মা ইলিশ জব্দসহ ৭ জেলেকে আটক করেছে প্রশাসন। এ সময় গ্রেপ্তারকৃতদের নিয়মিত মামলায় জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। গত মঙ্গলবার সকল থেকে বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত চলা অভিযানে তাদের আটক করা হয়। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন দশমিনা সামুদ্রিক মৎস্য কর্মকর্তা নাজমুল হাসান ও নৌ-পুলিশ ফারির ইনচার্জ ফেরদৌস আহমেদ বিশ্বাস। জানা যায়, গত ৪৮ ঘণ্টায় তেতুলিয়া ও বুড়াগৌরাঙ্গ নদীর অভয়াশ্রম এলাকায় নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইলিশ শিকার করে আসছেন জেলেরা। এ সময় উপজেলা প্রশাসন, মৎস্য অধিদপ্তর, থানা ও নৌ-পুলিশ ফাঁড়ি পৃথক অভিযান চালিয়ে ৭ জেলেকে আটক করে। এ সময় ১০ হাজার মিটার জাল ১০ কেজি ইলিশ মাছ ও ৪টি মাছ ধরার নৌকা জব্দ করা হয়।
আটক কৃতরা হলেন- উপজেলার বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের ৬ নম্বর গ্রামের মো. খলিল মৃধা (৪৯), চরবোরহান ইউনিয়নের খোকন মোল্লা (৪৯), পার্শ্ববর্তী বাউফল উপজেলার কালাইয়া ইউনিয়নের শৌলা গ্রামের মো. ফারুখ গাজী (৪৯), মিল্লাদ দালাল (২৯), মো. মনির হাওলাদার (৩১), মো. রিফাত হাওলাদার (২২) ও মো. রাকিব হাওলাদার (২১)।
জব্দকৃত জাল উপজেলা পরিষদের সামনের মাঠে এবং তেতুলিয়া নদীর তীরবর্তী হাজির হাট এলাকায় জনসমক্ষে পুড়িয়ে বিনষ্ট ও মা ইলিশ বিভিন্ন এতিমখানা, মাদ্রাসায় বিতরণ ও জব্দকৃত নৌকা নৌ-পুলিশের হেফাজতে রাখা হয়েছে।
এ বিষয়ে দশমিনা নৌ-পুলিশ ফারির ইনচার্জ ফেরদৌস আহমেদ বিশ্বাস বলেন, মা ইলিশ রক্ষায় ২২ দিন তেতুলিয়া ও বুড়া গৌরাঙ্গ নদীতে আমাদের এই বিশেষ অভিযান চলবে। এ সময় কেউ নিষেধাজ্ঞা অমান্য করলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
