ঢাকা মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর, ২০২৫

২১ কিলোমিটারজুড়ে খানা-খন্দ ও গর্ত

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি
প্রকাশিত: অক্টোবর ১৪, ২০২৫, ০২:৩৩ এএম
  • প্রতিদিন ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা
  • চরম ভোগান্তিতে যাত্রী ও চালকরা
  • ১০ কিলোমিটার অংশের টেন্ডার সম্পন্ন হলেও কাজ এখনো শুরু হয়নি

ঝিনাইদহ-চুয়াডাঙ্গা আঞ্চলিক সড়ক এখন যেন গর্ত আর ধুলোর রাজ্য। প্রায় পুরো সড়কজুড়েই খানা-খন্দে ভরা, সামান্য বৃষ্টিতেই তৈরি হয় জলাবদ্ধতা। ফলে প্রতিনিয়ত ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা। দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না হওয়া, অতিরিক্ত বৃষ্টিপাত এবং ভারী যানবাহনের ওভারলোডের কারণে এমন দুরবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

প্রতিদিন এই সড়ক দিয়ে হাজার হাজার মানুষ ও যানবাহন চলাচল করে। কিন্তু সড়কের বেহাল অবস্থার কারণে যাত্রী ও চালকরা পড়ছেন চরম ভোগান্তিতে। কেউ কেউ বলছেন, এই রাস্তায় চলাচল এখন একপ্রকার যুদ্ধের সমান।

ঝিনাইদহ সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের তথ্য মতে, ঝিনাইদহ-চুয়াডাঙ্গা আঞ্চলিক সড়কের ঝিনাইদহ অংশ (আর-৭৪৫) প্রায় ২০.৯৭ কিলোমিটার। বিভিন্ন সময় গ্রুপভিত্তিকভাবে সংস্কার করা হলেও আগের কাজগুলো এখন প্রায় সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে গেছে।

 সরেজমিন দেখা গেছে, ঝিনাইদহ শহরের চুয়াডাঙ্গা বাসস্ট্যান্ড থেকে শুরু করে নগরবাথান বাজার, আঠারো মাইল, আমেরচারা থেকে বৈডাঙ্গা পর্যন্ত জায়গায় জায়গায় কার্পেটিং উঠে গেছে, তৈরি হয়েছে অসংখ্য গর্ত। ডাকবাংলা বাজার থেকে দশমাইল পর্যন্ত রাস্তায়ও একই অবস্থা, ছোট-বড় গর্তে ভরপুর।

চুয়াডাঙ্গাগামী বাসযাত্রী আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘সপ্তাহে দুই দিন চুয়াডাঙ্গা যেতে হয়। রাস্তাটার এমন দশা হয়েছে যে, প্রতিবার মনে হয় শেষবার যাচ্ছি।’

ইজিবাইক চালক লিয়াকত হোসেন জানান, ‘রাস্তার গর্তে চাকা পড়লে মনে হয় গাড়ি উল্টে যাবে। যাত্রী নিয়ে ভয়ে ভয়ে চলতে হয়।’

ডাকবাংলা বাজারের ব্যবসায়ী এনামুল হক বলেন, ‘প্রতিদিন ব্যবসার কাজে শহরে যাই। রাস্তায় গর্তের কারণে পুরো শরীর ব্যথা হয়ে যায়। দুর্ঘটনার ভয় সব সময় লেগে থাকে।’

ট্রাকচালক আফতাব উদ্দিনের মন্তব্য, ‘মালামালবোঝাই ট্রাক নিয়ে এই রাস্তায় চলাচল মানেই জীবনের ঝুঁকি নেওয়া। রাতে তো আরও ভয়ানক।’ এ বিষয়ে ঝিনাইদহ সওজের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. হাফিজুর রহমান জানান, ‘সড়কের গর্তগুলো আমরা নিয়মিত মেরামত করছি। চুয়াডাঙ্গা বাসস্ট্যান্ড থেকে আমেরচারা পর্যন্ত ১০ কিলোমিটার সড়কের টেন্ডার সম্পন্ন হয়েছে এবং জহুরুল লিমিটেডকে ওয়ার্ক অর্ডার দেওয়া হয়েছে। বর্ষা মৌসুম শেষ হওয়ায় খুব শিগগিরই কাজ শুরু হবে।’