শুক্রবার, ১৭ অক্টোবর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


খোরশেদ আলম, নওগাঁ

প্রকাশিত: অক্টোবর ১৭, ২০২৫, ০২:৩৮ এএম

সন্ধ্যা নামলেই ডাকাত আতঙ্ক

খোরশেদ আলম, নওগাঁ

প্রকাশিত: অক্টোবর ১৭, ২০২৫, ০২:৩৮ এএম

সন্ধ্যা নামলেই ডাকাত আতঙ্ক

নওগাঁর পোরশার বিভিন্ন এলাকায় ঘটছে ডাকাতির ঘটনা। বিশেষ করে সন্ধ্যা নামার সঙ্গে সঙ্গেই ডাকাত আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ছে। ঘনঘন এমন ঘটনায় আতঙ্কে দিন কাটছে সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে পথচারী, যাত্রী ও ব্যবসায়ীদের। স্থানীয়দের অভিযোগ, ডাকাতি দমনে প্রশাসনের কার্যকর উদ্যোগের অভাবেই এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি উপজেলার বিভিন্ন সড়কে ডাকাতরা গাছ ফেলে যানবাহনের পথরোধ করে যাত্রীদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে সর্বস্ব লুট করছে। একই সঙ্গে বাজার ও মোড়ের দোকানপাটের তালা ভেঙে মূল্যবান মালামাল লুটে নিচ্ছে দুর্বৃত্তরা। রাতে দোকান বন্ধ করে বাড়ি ফেরার পথে ব্যবসায়ীরাও তাদের টার্গেটে পরিণত হচ্ছেন।

গত বুধবার গভীর রাতে উপজেলার সারাইগাছী-আড্ডা আঞ্চলিক মহাসড়কের মোশানতলা মোড় থেকে বন্ধুপাড়া মোড় পর্যন্ত প্রায় ৭ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে ৩টি স্থানে ডাকাতরা গাছ ফেলে সড়ক অবরোধ করে। ওই সময় একাধিক যানবাহনের যাত্রীদের কাছ থেকে নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার ও মোবাইল ফোনসহ মূল্যবান মালামাল লুট করা হয়।

একই রাতে বেজোড়া মোড় এলাকায় ৩ নৈশপ্রহরীকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে অন্তত ১৮টি দোকানের মালামাল লুটে নেয় ডাকাতদল। এর আগে গত রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা থেকে সাড়ে ৮টার মধ্যে সারাইগাছী-আড্ডা সড়কের মোশানতলা মোড়ে একই কায়দায় আরেকটি ডাকাতির ঘটনা ঘটে। প্রায় ঘণ্টাব্যাপী চলে এই তা-ব। গাছ ফেলে সড়ক অবরোধ করে উভয় দিকের যানবাহনের যাত্রীদের কাছ থেকে নগদ অর্থ, স্বর্ণালংকার ও মালামাল ছিনিয়ে নেয় তারা। ডাকাতদের হামলায় অন্তত ২০ জন আহত হন। বর্তমানে তারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন আছেন।

স্থানীয়দের অভিযোগ, মোশানতলা মোড়ে প্রায়ই ডাকাতির ঘটনা ঘটলেও থানা পুলিশের ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ। ঘটনার সময় পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মাত্র দুই কিলোমিটার দূরে সারাইগাছী বাজারে অবস্থান করলেও কোনো তৎপরতা দেখা যায়নি। ডাকাতি শেষ হওয়ার পর পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে বলেও অভিযোগ করেন তারা।

বেজোড়া মোড়ের ইলেকট্রিক ব্যবসায়ী হুমায়ুন কবির, রাজিবুল হাসান এবং মুদি ব্যবসায়ী জাকারিয়া জানান, আমাদের এলাকায় মাঝেমধ্যেই ডাকাতি হয়। গত (বুধবার) রাতে অন্তত ১৮টি দোকান লুট হয়েছে। এতে অর্ধলক্ষাধিক টাকার মালামাল নিয়ে গেছে ডাকাতরা।

ঘাটনগর ইউনিয়নের তাঁতীপাড়া বাজারের ব্যবসায়ী আলমগীর হোসেন বলেন, গত সপ্তাহে দোকান বন্ধ করে বাড়ি ফেরার সময় আমার পথরোধ করে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করা হয়। টাকা দিতে দেরি করায় আমাকে মারধর করে ৪২ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়।

এদিকে গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ সাফিউল সারোয়ার এবং পোরশা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিন্টু রহমান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এ সময় ওসি বলেন, সম্প্রতি কয়েকটি এলাকায় ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। আমরা ঘটনাগুলো গুরুত্বসহকারে তদন্ত করছি। ইতিমধ্যে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। দোষীদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

এ বিষয়ে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাফিউল সারোয়ার বলেন, ডাকাতি রোধে বিশেষ টহল ও চেকপোস্ট কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে। জড়িতদের দ্রুত শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা হবে।

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!