সোমবার, ২০ অক্টোবর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


নলছিটি (ঝালকাঠি) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: অক্টোবর ২০, ২০২৫, ০১:৩০ এএম

শ্রেণিকক্ষ সংকটে পাঠদান ব্যাহত

নলছিটি (ঝালকাঠি) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: অক্টোবর ২০, ২০২৫, ০১:৩০ এএম

শ্রেণিকক্ষ সংকটে  পাঠদান ব্যাহত

*** ১৩ শ্রেণিকক্ষে ৭০০ শিক্ষার্থীর পাঠদান

ঝালকাঠি জেলার নলছিটি উপজেলার প্রাচীন বিদ্যাপীঠ তিমিরকাটি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও ভোকেশনাল শাখায় শ্রেণিকক্ষ সংকটে পাঠদান কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। প্রায় সাত শতাধিক শিক্ষার্থীর জন্য যেখানে প্রয়োজন অন্তত ২৪টি শ্রেণিকক্ষ, সেখানে মাত্র ১৩টি শ্রেণিকক্ষেই চলছে পাঠদান। ফলে শিক্ষক-শিক্ষার্থী উভয়ই চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন।

নলছিটি উপজেলার ৯ নম্বর দপদপিয়া ইউনিয়নের তিমিরকাটি গ্রামে অবস্থিত বিদ্যালয়টি ১৯৬৩ খ্রিষ্টাব্দে প্রতিষ্ঠিত হয়। পরে এটি বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে পাঁচটি ট্রেডে ভর্তি ও পাঠদানের অনুমতি পায়। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই বিদ্যালয়টি সুনামের সঙ্গে দক্ষিণাঞ্চলের শিক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে আসছে।

নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী তাহসিন আক্তার অন্নি বলেন, আমাদের বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা খুব আন্তরিকভাবে পাঠদান করান। ডিজিটাল ল্যাব ও মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম থাকলেও শ্রেণিকক্ষের অভাব আমাদের শিক্ষাজীবনে বড় প্রতিবন্ধকতা।

আরেক শিক্ষার্থী তানজিম ইসলাম অর্ণব বলেন, আমাদের বিদ্যালয়টি পুরাতন ও ঐতিহ্যবাহী। খেলাধুলা ও বিজ্ঞানাগারে আমাদের সুনাম রয়েছে। কিন্তু শ্রেণিকক্ষের সংকটের কারণে একাধিক ক্লাস একসঙ্গে নিতে হয়, যা পড়াশোনায় বাধা সৃষ্টি করে।

সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী ইশা মনি বলেন, প্রধান শিক্ষক আমাদের খুব যতœ করেন। প্রতিবছর বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, শিক্ষা সফরসহ নানা অনুষ্ঠান হয়। তবে শ্রেণিকক্ষের সংকটে অনেক সময় ক্লাস করতে সমস্যা হয়।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ইলিয়াস হোসেন শাহীন জানান, বিদ্যালয়টিতে বর্তমানে প্রায় ৭০০-এর বেশি শিক্ষার্থী অধ্যয়নরত। জেনারেল ও ভোকেশনাল দুটি শাখায় মোট প্রায় ৪০ জন শিক্ষক-কর্মচারী কাজ করছেন। জেনারেল শাখায় তিনটি বিভাগে চারশতাধিক এবং ভোকেশনাল শাখায় পাঁচটি ট্রেডে তিনশতাধিক শিক্ষার্থী রয়েছে। শ্রেণিকক্ষ স্বল্পতার কারণে পাঠদান কার্যক্রমে বিঘœ ঘটছে। শিক্ষার্থীদের স্বার্থে একটি নতুন একাডেমিক ভবন অত্যন্ত জরুরি।

স্থানীয় অভিভাবকরাও বিদ্যালয়ের জন্য নতুন ভবন নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন। তারা বলেন, সরকারের সহযোগিতা পেলে তিমিরকাটি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও ভোকেশনাল শাখা আবারও এলাকার অন্যতম সেরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হিসেবে তার গৌরব ধরে রাখতে পারবে।

এ ব্যপারে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আনোয়ারুল আজিমকে তার মুঠোফোনে একাধিকবার কল দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!