সোমবার, ২০ অক্টোবর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় কলেজছাত্রীকে অপহরণ

বড়লেখা (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: অক্টোবর ২০, ২০২৫, ০১:৪০ এএম

প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান  করায় কলেজছাত্রীকে  অপহরণ

মৌলভীবাজারের বড়লেখায় প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যানের জেরে এক কলেজছাত্রীকে অপহরণের অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ রয়েছে, ভিকটিমের অবস্থান শনাক্তের পরও পুলিশ উদ্ধার অভিযান চালায়নি এবং অপহরণ মামলা নিতেও অস্বীকৃতি জানিয়েছে। এ ঘটনায় স্থানীয়দের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ ও উদ্বেগের সৃষ্টি হয়েছে।

ভিকটিম হাবিবা আক্তার (১৭) বড়লেখা সরকারি ডিগ্রি কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্রী। তিনি উপজেলার উত্তর শাহবাজপুর ইউনিয়নের পূর্ব দৌলতপুর গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য হাজেরা বেগমের নাতনি।

পরিবার সূত্রে জানা গেছে, কলেজে যাওয়া-আসার পথে শ্রীধরপুর গ্রামের আকবর আলীর ছেলে শামীম আহমদ দীর্ঘদিন ধরে হাবিবাকে উত্ত্যক্ত করত এবং প্রেমের প্রস্তাব দিত। কিন্তু হাবিবা তা প্রত্যাখ্যান করলে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে শামীম।

এর জেরে গত ৯ সেপ্টেম্বর সকাল ৮টার দিকে প্রাইভেট পড়তে যাওয়ার সময় শামীম ও তার সহযোগীরা জোরপূর্বক একটি নোহা মাইক্রোবাসে তুলে হাবিবাকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। ঘটনার দুই দিন পর ভিকটিমের নানি হাজেরা বেগম বড়লেখা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। পরে পুলিশের পরামর্শে কয়েক হাজার টাকা ব্যয়ে ভিকটিম ও অভিযুক্তের কল রেকর্ড (সিডিআর) সংগ্রহ করে অবস্থান শনাক্ত করেন। কিন্তু পুলিশকে জানালেও কোনো উদ্ধার অভিযান চালানো হয়নি বলে অভিযোগ করেন তিনি। হাজেরা বেগম বলেন, ‘দুই দিন ধরে নোহা গাড়ি নিয়ে থানায় গেছি, কিন্তু পুলিশ ফিরিয়ে দিয়েছে। প্রায় দেড় মাস ধরে নানা জায়গায় ধরনা দিয়েও কোনো প্রতিকার পাইনি।’

তিনি আরও অভিযোগ করেন, অপহরণকারীদের নাম-ঠিকানাসহ বিস্তারিত তথ্য থানায় দিলেও পুলিশ মামলা নেয়নি। বরং প্রতিবেশী কয়েকজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করায় তারা উল্টো তাকে মারধর করেছে।

এ বিষয়ে বড়লেখা থানার ওসি মো. মাহবুবুর রহমান মোল্লা বলেন, ‘ভিকটিমের সঙ্গে অভিযুক্ত শামীমের আগেও যোগাযোগ ছিল। তখন পুলিশ ঢাকার কেরানীগঞ্জ থেকে মেয়েটিকে উদ্ধার করেছিল। এবার অবস্থান শনাক্তের পর দেখা যায়, তারা স্থান পরিবর্তন করেছে। বাদী হাজেরা বেগম মাধবপুরে থাকার কথা বললেও, তারা তখন বরিশালের ভোলায় ছিল। একই বিষয়ে একটি জিডি তদন্তাধীন থাকায় নতুন করে অপহরণের মামলা নেওয়া হয়নি।’

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!