মঙ্গলবার, ২১ অক্টোবর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


মোজাম্মেল হোসেন মুন্না, গোপালগঞ্জ

প্রকাশিত: অক্টোবর ২১, ২০২৫, ০১:৫১ এএম

গোপালগঞ্জ মেডিকেল কলেজ

স্বাস্থ্যসেবা এখনো দূরের স্বপ্ন

মোজাম্মেল হোসেন মুন্না, গোপালগঞ্জ

প্রকাশিত: অক্টোবর ২১, ২০২৫, ০১:৫১ এএম

স্বাস্থ্যসেবা এখনো দূরের স্বপ্ন

  • ১৮টি বিভাগের মধ্যে দুটি চালু, বাকি ১৬টি বিভাগ বন্ধ
  • প্রয়োজনীয় ডাক্তার ও নার্স সংখ্যা অর্ধেক, ফলে চিকিৎসা ব্যাহত
  • পানি সংকট, টয়লেটের দুর্গন্ধ এবং খাবারের মান কমের অভিযোগ

গোপালগঞ্জ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পূর্ণাঙ্গভাবে চালুর ঘোষণার পরও স্বাস্থ্যসেবার কাক্সিক্ষত উন্নতি হয়নি। ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে মেডিসিন ও শিশু বিভাগ চালুর পরও বাকি ১৬টি বিভাগের কার্যক্রম শুরু করা সম্ভব হয়নি। জনবল সংকট, অবকাঠামোগত সমস্যা ও নানা চ্যালেঞ্জের কারণে হাসপাতালের কার্যক্রম সীমিত পরিসরে চলছে।

হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, ১৮টি বিভাগ চালুর কথা থাকলেও বর্তমানে কেবল দুটি বিভাগে রোগী ভর্তি ও চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। যেখানে ৮১ জন চিকিৎসক থাকার কথা, সেখানে কর্মরত আছেন মাত্র ৪০ জন। নার্স ও অন্যান্য সহায়ক কর্মচারীর সংখ্যাও প্রয়োজনের তুলনায় কম। ফলে প্রতিদিন রোগীদের সেবা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে।

২০২৩ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি বহির্বিভাগ চালু হয় এবং এর এক বছর পর ২০২৪ সালের ২৫ জানুয়ারি মেডিসিন ও শিশু বিভাগ চালু হয়। দীর্ঘ ৯ মাস পেরিয়ে গেলেও অন্য বিভাগগুলো চালুর উদ্যোগ বাস্তবায়িত হয়নি। এতে গোপালগঞ্জ ও আশপাশের এলাকার রোগীরা হতাশ। স্থানীয়রা জানান, চিকিৎসার জন্য অনেককে ঢাকাসহ খুলনা ও বরিশাল মেডিকেল কলেজে ছুটতে হচ্ছে।

হাসপাতালে ভর্তি রোগী ও তাদের স্বজনরা অভিযোগ করেছেন, ‘ভর্তি হওয়ার পর পানি পাওয়া যায় না, টয়লেট ব্যবহার করা যায় না।’ এ ছাড়া খাবারের মানও খারাপ বলে তারা জানান।

হাসপাতালের পরিচালক ডা. প্রেমানন্দ ম-ল বলেন, ‘নতুন হাসপাতাল হওয়ায় কিছু সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছি। তবে অচিরেই আরও চারটি বিভাগ চালুর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সব বিভাগ চালু হলে পূর্ণাঙ্গ স্বাস্থ্যসেবা সম্ভব হবে।’

স্থানীয়রা দাবি করছেন, দ্রুত সব বিভাগ চালু হলে শুধু গোপালগঞ্জ নয়, আশপাশের বাগেরহাট, নড়াইল ও মাদারীপুর জেলার মানুষও সুফল পাবেন।

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!