বুধবার, ২২ অক্টোবর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


পীরগঞ্জ (রংপুর) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: অক্টোবর ২২, ২০২৫, ০১:৫৯ এএম

চুক্তি থাকলেও বঞ্চিত ভূমি মালিক

টেন্ডারে রাস্তার ২ হাজার গাছ বিক্রি

পীরগঞ্জ (রংপুর) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: অক্টোবর ২২, ২০২৫, ০১:৫৯ এএম

টেন্ডারে রাস্তার ২ হাজার গাছ বিক্রি

রংপুরের পীরগঞ্জে রাস্তার গাছ টেন্ডারের মাধ্যমে বিক্রি হলেও রহস্যজনক কারণে টাকা থেকে জমির মালিকরা বঞ্চিত হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে ভুক্তভোগীরা। তারা বলছেন, গাছ লাগানোর সময় কে কত শতাংশ টাকা পাবে সে বিষয়ে উপকারভোগী, ইউনিয়ন পরিষদ, জমির মালিক ও উপজেলা প্রশাসনের মধ্যে চুক্তি করা হয়। কিন্তু গাছ কাটার কাজ শেষ হলেও তাদের টাকা দেওয়া হচ্ছে না। এ নিয়ে এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।

জানা গেছে, উপজেলার কাবিলপুর ইউপি কার্যালয়ের সম্মুখের রাস্তায় লাগানো ২ হাজার ইউক্যালিপটাস গাছ গত ৮ সেপ্টেম্বর নিলামের মাধ্যমে বিক্রি করা হয়। লালদিঘী মেলা জামে মসজিদের উন্নয়নের লক্ষ্যে আমিনুল ইসলাম নামে একজন ২৮ লাখ ৮৫ হাজার টাকা ভ্যাট ছাড়া সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে গাছগুলো কিনে নেন। এর আগে ৩ বছর আগে দেশসেবা সংস্থার লোকজন ১২ লাখ টাকায় গাছগুলো জামালপুর গ্রামের তারা প্রামানিকের ছেলে মিল্টন প্রামানিকের কাছে বিক্রি করেন। এরই মধ্যে গাছ কাটার কাজ শেষ হলেও রাস্তার পাশের জমির মালিকরা গাছের টাকা না পেয়ে ইউএনওর কার্যালয়ে ধন্না দিচ্ছেন। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।

উপজেলার লালদিঘী মেলার ‘দেশসেবা’ সংস্থার সভাপতি মোস্তাক আহমেদ বলেন, ২০০৩ সালে কাবিলপুর ইউনিয়নের লালদিঘি মেলা থেকে পদুঘাট পর্যন্ত ২ হাজার ইউক্যালিপটাস গাছ রোপণ করে দেশসেবা সংস্থা। উপকারভোগী, ইউনিয়ন পরিষদ, জমির মালিক ও উপজেলা প্রশাসনের মধ্যে একটি চুক্তি করা হয়। তৎকালীন কাবিলপুর ইউপি চেয়ারম্যান জায়দুল হক ১০ বছরের জন্য চুক্তিনামায় স্বাক্ষর করেন। এর মধ্যে উপকারভোগী ৭০ শতাংশ, ইউনিয়ন পরিষদ ১৫ শতাংশ, জমির মালিক ১০ শতাংশ এবং উপজেলা প্রশাসন ৫ শতাংশ হারে টাকা পাবে।

ভুক্তভোগী জমির মালিক জামালপুর গ্রামের আজাদুল ইসলাম আজাদ, সায়েব মিয়া, রফিকুল ইসলাম জানান, ২০০৩ সালে তাদের জমির ওপর রাস্তায় গাছগুলো রোপণ করে সমিতির লোকজন। গাছ বিক্রির সময় জমির মালিকদের ১০ শতাংশ হারে টাকা দেওয়ার কথা ছিল এবং সেই মোতাবেক রাস্তায় গাছ লাগানো হয়েছে। কিন্তু গাছ বিক্রির পর সমিতির সদস্যরা বলছেন, জমির মালিক টাকা পাবে কিন্তু উপজেলা বন বিভাগ বলছে জমির, মালিক টাকা পাবে না। টাকার জন্য শতাধিক লোকজন উপজেলা প্রশাসনের দারে দারে ঘুরেও কোনো সুরাহা মিলছে না। উল্টো জমির মালিকরা কোনো টাকা পাবে না বলে উপজেলা উপ-প্রশাসনিক কর্মকর্তা মনোরঞ্জন মহন্ত তাদের হয়রানি করছেন।

মিল্টন প্রামানিক উপ-প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও বন কর্মকর্তার যোগসাজশে ভূমি মালিকদের প্রাপ্য ১০ শতাংশ হারের টাকা কৌশলে পরিচর্যার জন্য বরাদ্দ দেখিয়ে শতাধিক কৃষকের প্রায় ৩ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছে বলে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী মালিকদের।

উপজেলা বন কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘আমার কাছে কোনো কাগজপত্র নেই। ইউএনও অফিসের উপ-প্রশাসনিক কর্মকর্তা মনোরঞ্জন মহন্তের নিকট চুক্তিনামা রয়েছে। ওই চুক্তিনামা অনুযায়ী রাস্তার গাছের কোনো টাকা জমির মালিক পাবে না বলে তিনি জানান।’

কাবিলপুর ইউনিয়ন পরিষদ প্যানেল চেয়ারম্যান আশরাফুল ইসলাম বলেন, ‘পরিষদ ১০ শতাংশ হারে টাকা পেয়েছে। ভূমির মালিকরা টাকা পাবার কথা থাকলেও দীর্ঘদিন আগে চুক্তিনামা হওয়ার কারণে চুক্তিনামা পরিষদে সংরক্ষিত না থাকায় আমরা কিছুই বলতে পারছি না।’ 

ইউএনও অফিসের উপ-প্রশাসনিক কর্মকর্তা মনোরঞ্জন মহন্ত বলেন, চুক্তিনামা অনুযায়ী জমির মালিক টাকা পাবে না। ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা সহকারী ভূমি কর্মকর্তা তানভীরুল আহমেদ বলেন, উপ-প্রশাসনিক কর্মকর্তা ছুটিতে আছেন। তিনি ছুটি থেকে ফিরে এলে কাগজপত্র দেখে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।

 

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!