টেকনাফে চাঞ্চল্যকর ইউনুস মেম্বার হত্যার দুই দিন পর অবশেষে তারই সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আলম ওরফে শাফুইয়াকে প্রধান আসামি করে টেকনাফ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার রাতে নিহত ইউনুছ মেম্বারের স্ত্রী কহিনুর আক্তার বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় অজ্ঞাত আস-আটজনকে আসামি করা হয়েছে। মামলা নম্বর জি.আর-৭৯৯/২৫ইং।
প্রধান আসামি আলম উপজেলার হ্নীলা রঙ্গিখালী এলাকার ছৈয়দুর রহমান ওরফে ছৈয়দ মেম্বারের ছেলে এবং উপজেলার আরফাত রহমান কোকো ক্রীড়া পরিষদের সাধারণ সম্পাদক।
এর আগে গত বুধবার সকালে টেকনাফের হ্নীলা রঙ্গিখালী গেটের দক্ষিণ পাশে পুত্তাপোল ব্রিজের নিচে ভাসমান অবস্থায় খাল থেকে সাবরাং ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সদস্য ও উপজেলার আরাফাত রহমান কোকো ক্রীড়া পরিষদের সভাপতি ইউনুছ মেম্বারের মৃতদেহ উদ্ধার করে টেকনাফ মডেল থানার পুলিশ। পরে কক্সবাজার সদর হাসপাতাল থেকে ময়নাতদন্ত শেষে গেত বৃহস্পতিবার বাদ যোহর ইউনুস মেম্বারের মরদেহ সাবরাং ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের চান্দলিপাড়ায় নিয়ে আসা হয়। বাদ আসর টেকনাফ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে জানাজার নামাজ শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
এদিকে জানাজা শেষে পৌরসভার শাপলা চত্বরে হত্যাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে মানববন্ধন করেন নিহতের পরিবারের সদস্য ও এলাকাবাসী। মানববন্ধনে নৃশংস হত্যা মামলা নিয়ে রাজনীতি, প্রতিহিংসা ও বাণিজ্য না করে প্রকৃত অপরাধীদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় এনে সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করার দাবি জানান বক্তারা।
জানতে চাইলে টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু জায়েদ মো. নাজমুন নুর বলেন, বৃহস্পতিবার রাতে নিহতের স্ত্রী কহিনুর আক্তার বাদী হয়ে থানায় হত্যা মামলা করেছেন। পুলিশ ইতিমধ্যে তদন্ত শুরু করেছে। আশা করি, শিগগির হত্যার কারণ জানা যাবে এবং দোষীদের আইনের আওতায় আনা হবে।

সর্বশেষ খবর পেতে রুপালী বাংলাদেশের গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন