ঢাকা সোমবার, ১৭ নভেম্বর, ২০২৫

শ্রীমঙ্গলে ছড়া দখল করে মার্কেট নির্মাণ

শ্রীমঙ্গল প্রতিনিধি
প্রকাশিত: নভেম্বর ১৭, ২০২৫, ০১:৪০ এএম

শ্রীমঙ্গলে সরকারি খাস খতিয়ানভুক্ত ছড়া দখল করে পাকা দোকান মার্কেট নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে মকন হাজি নামের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। এতে এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। অভিযুক্ত মকন হাজি শ্রীমঙ্গল শহরের একজন ব্যবসায়ী। এ ছাড়াও রাজনৈতিকভাবে জরিত না থাকলে ও রাজনৈতিক মহলের সঙ্গে তার উঠাবসা।

জানা যায়, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে স্থানীয় এমপি এবং সাবেক উপজেলা চেয়াম্যানসহ আওয়ামী লীগের রাজনীতির নেতাদের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক ছিল। সেই সুবাধে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে অভিযুক্ত মকন হাজি সরকারি ছড়া দখল করে পাকা ভবন তৈরি করে দোকান মার্কেট নির্মাণ করেছেন।

শ্রীমঙ্গল উপজেলার ৩নং সদর ইউনিয়নের সুরমা ভ্যালি একটি সরকারি ছড়া রয়েছে (ছড়াটি কাকিয়া ছড়া নামে পরিচিত) অবৈধভাবে ছড়া দখল করে এক তলাবিশিষ্ট বাণিজ্যিক মার্কেট নির্মাণ করেন।

ওই এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ, পানির প্রবাহ বন্ধ করে এভাবে সরকারি ছড়া দখল করে পাকা ভবন নির্মাণ করেছে। এরই মধ্যে ছড়াজুড়ে মার্কেট নির্মাণ করে ভাড়া দেওয়া হয়েছে।

অবিলম্বে ওই অবৈধ স্থাপনা ভেঙে অপসারণের মাধ্যমে প্রাচীন এ ছড়ার পানিপ্রবাহ অব্যাহত রাখার জন্য এলাকাবাসী স্থানীয় প্রশাসনের কাছে দাবি জানিয়েছে। সরেজমিনে গিয়ে স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শ্রীমঙ্গল উপজেলার সুরমা ভ্যালি এলাকা হয়ে কাকিয়া ছড়াটি শ্রীমঙ্গল হাইল হাওড়ের সঙ্গে সংযুক্ত হয়েছে। এরই মধ্যে এই মার্কেটে ওয়াকসপসহ মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান স্থাপন করে ভাড়া দেওয়া হয়েছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় এলাকার বিভিন্ন পেশার অন্তত ৮ থেকে ১০ জন বাসিন্দা বলেন,  দুই তলা ফাউন্ডেশন দিয়ে একতলা ভবন তৈরি করে ভাড়া দেওয়া হয়েছে। এলাকার পানিপ্রবাহের সরকারি খালটি এভাবে দখল করে মার্কেট নির্মাণ করা হলেও প্রশাসনের কাউকে বাধা দিতে দেখিনি। বিষয়টি এর আগে প্রশাসনকে অবহিত করলেও কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।

শ্রীমঙ্গল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ইসলাম উদ্দিন রূপালী বাংলাদেশকে বলেন, ‘সরকারি খাল দখল করে ভবন নির্মাণ করার কোনো সুযোগ নেই।

অবৈধ স্থাপনা অপসারণের মাধ্যমে সরকারি খাল দখলমুক্ত করা হবে। এ ছাড়া খালের কোনো জায়গা অবৈধভাবে কারো দখলে থেকে থাকলে তাও উচ্ছেদ করা হবে।’

এই ঘটনার প্রেক্ষিতে আবারও প্রশ্ন উঠেছে সরকারি খাল, জলাধার ও কৃষিজমি রক্ষায় প্রশাসনের ভূমিকা কতটা কার্যকর। পরিবেশ সচেতনমহল ও এলাকাবাসী জোর দাবি, অবৈধ নির্মাণ বন্ধ করতে হবে, খাল ও জলাধার দখলমুক্ত করতে হবে, অবৈধভাবে বিক্রি করা ধানের জমি উদ্ধার করতে হবে, এদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে হবে।