বঙ্গোপসাগরে এক টানে দুটি ট্রলারে ২০০ মণ ইলিশ ধরা পড়েছে। এফবি সাফাওয়ান-১ ও এফবি রাইসা নামের দুটি ট্রলারে এসব মাছ বরগুনার পাথরঘাটার বিএফডিসি মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে নিয়ে আসা হয়। পরে বিভিন্ন দাম ৫৩ লাখ ৫০ হাজার টাকায় মাছগুলো বিক্রি করা হয়।
গতকাল বুধবার সকালে বিএফডিসি মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে সাইফ ফিশ নামের আড়তে এসব মাছ বিক্রি করা হয়। এর আগে গত সোমবার কুয়াকাটা থেকে ৭০ কিলোমিটার গভীর সমুদ্রে মাছগুলো ধরা পড়ে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এফবি রাইসা ও এফবি সাফাওয়ান নামের মাছ ধরার ট্রলার দুটি গত ১৪ নভেম্বর পাথরঘাটা থেকে ১৭ জন জেলে নিয়ে সমুদ্রে যায়। এফবি রাইসা ট্রলারে ধরা পড়ে ১১০ মণ, যা বিক্রি হয়েছে ২৮ লাখ ৫০ হাজার টাকায়। এফবি সাফাওয়ান-১ ট্রলারে ধরা পড়ে ৯০ মণ ইলিশ, যা বিক্রি হয়েছে ২৫ লাখ টাকায়। তবে মাছগুলো আকারে তুলনামূলক ছোট।
এফবি রাইসা ট্রলারের মাঝি মাসুদ বলেন, গত ১৪ নভেম্বর আমরা মাছ ধরার জন্য সাগরে যাই। তিন-চারদিনে মাত্র ৪০০ পিস মাছ পাই। ১৭ নভেম্বর বিকেলে জাল ফেলে কিছু সময় অপেক্ষা করার পর জাল টান দিতে গিয়ে দেখি ইলিশ আর ইলিশ। ওই এক টানেই আনুমানিক প্রায় ১৮ হাজার ইলিশ ধরা পড়ে। সাফওয়ান-১ ট্রলার সূত্রে জানা গেছে, গত ১৭ নভেম্বর বিকেল জাল ফেলা হলে ৯০ মণ মাছ ধরা পড়ে। আজ মাছগুলো খোলা ডাকে বিক্রি করা হয়।
পাথরঘাটা বিএফডিসি মার্কেটের আড়তদার মোস্তফা আলম বলেন, আমার আড়তে মাছগুলো বিক্রি হয়েছে। কিছুদিন আগে প্রায় ১৭০ মণ মাছ বিক্রি করি অন্য একটি ট্রলারে। সাগরে এখন মাছ ধরা পড়ছে না। তবে এবার ২০০ মণ ধরা পড়ায় অনেকটা লোকসান কাটিয়ে উঠতে পারবে।
ট্রলারের মালিক রুবেল বলেন, অনেক দিন ধরে সাগরে খুব কম মাছ ধরা পড়ছে। আমাদের লোকসান গুনতে হচ্ছিল। এই মাছ বিক্রি করে আগের লোকসান কিছুটা কাটিয়ে উঠতে পারব।
বরগুনা জেলা ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী বলেন, সাগরে আগর মতন মাছ ধরা না পড়ায় জেলেরা ও ট্রলার মালিকেরা লোকসান গুনতে ছিলের। দুই ট্রলারে ২০০ মণ ইলিশ পাওয়ায় জেলেদের হাসিমুখ দেখে আমরাও খুশি হয়েছি।

