*** আমের মৌসুম না হলেও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লোভনীয় বিজ্ঞাপন
*** প্রতারক চক্র হাতিয়ে নিচ্ছে হাজার হাজার টাকা
রাজশাহী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জের আমের প্রতি আকর্ষণ রয়েছে দেশের অধিকাংশ জেলার মানুষের। সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে সময়ে-অসময়ে অনলাইনে আম নিয়ে প্রতারণার শিকার হন সাধারণ মানুষ। অনলাইনে অর্ডার করে ঠিকমতো সেবা পান না এমন অভিযোগ বহু ক্রেতার। তবে বর্তমানে অসময়ের রাজশাহী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জের আম নিয়ে অনলাইনে লোভনীয় বিজ্ঞাপন দিয়ে প্রতাণার ফাঁদে ফেলছেন একশ্রেণির প্রতারক। আমের মৌসুম না হলেও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বাগান থেকে সারা বছর অর্ডার করতে পারবেন ‘মজাদার ও রসালো কাটিমন আম’ এমন চাটুকার সব বিজ্ঞাপন দিচ্ছে প্রতারক চক্র। এসব অনলাইন পেজে সরল মনে আমের অর্ডার দিয়ে টাকা ও আম দুটোই হারিয়েছেন বহু ক্রেতা। এসব প্রতারক চক্রের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তারা। ‘বিডি অফিসিয়াল ম্যাংগো হাউস’ নামের একটি অনলাইন পেজ থেকে অর্ডার করে প্রতারণার শিকার হয়েছেন ক্রেতা। এই পেজে আমের লোভনীয় অফার দিয়ে বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়। এই পেজে আমের অর্ডার দিয়ে প্রতারণার ফাঁদে পড়ে ১১ হাজার টাকা হারিয়েছেন রাজশাহীর চারঘাটের এক ব্যক্তি। ওই ব্যক্তি ছাড়াও অনেকেই আমের অর্ডার দিয়ে আমও পাননি। উল্টো খুইয়েছেন হাজার হাজার টাকা। আম নিয়ে কীভাবে প্রতারণার শিকার হলেন জানতে চাইলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ভুক্তভোগী বলেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জের কাটিমন আমের অর্ডার করি ‘বিডি অফিসিয়াল ম্যাংগো হাউস’ পেজে। পরে কোড দেওয়ার নাম করে সরল মনে কুরিয়ারের লোক সেজে তারা আমার কাছ থেকে প্রতারণা করে ১১ হাজার টাকা নিয়েছেন।
তাদের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলে তারা বলছেন আমাদের অফিস চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ রিয়া ফার্নিচারের দোকানের পাশে।
অথচ খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এমন কোনো অফিসই নেই। পরে প্রশাসনের মাধ্যমে ওই ব্যক্তি খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এরা প্রতারক চক্র। এদের মোবাইল ট্র্যাক করে জানা যায়, এরা মূলত নড়াইলের ঘরোরিয়া পেরুলি এলাকায় অবস্থান করছে। আর যে সিম ব্যবহার করছে সেটা আবুল হোসেন নাম দিয়ে সিম উত্তোলন। যার বাড়ি শরিয়তপুর জেলার সদর থানার ফরিদপুর ডামিডা এলাকার নামে। পরে ওই ব্যক্তি নিশ্চিত হন তিনি প্রতারণার শিকার হয়েছেন। ওই ব্যক্তি ছাড়াও রাজশাহীসহ সারা দেশের শত শত মানুষ প্রতারণার শিকার হচ্ছে। অসময়ে আমের চাটুকার বিজ্ঞাপন দেখে আমের অর্ডার দিয়ে নিঃস্ব হচ্ছেন। এসব ভুঁইফোড় অনলাইন চিহ্নিত করে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগীসহ এলাকার সচেতন মহল।
চারঘাট মডেল থানার ওসি মিজানুর রহমান বলেন, অনলাইনে অর্ডার করতে হলে ভালোভাবে যেনেশুনে অর্ডার করতে হবে। ভুঁইফোড় অনলাইনের ভিড়ে আসল নকল বোঝা মুশকিল। আর অনলাইনে পণ্য হাতে না পাওয়া পর্যন্ত কাউকে অগ্রিম টাকা দেবেন না বলে সর্তক করেন ওসি মিজান।

