বৃহস্পতিবার, ১১ ডিসেম্বর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


নোয়াখালী প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১১, ২০২৫, ০৬:৩৯ এএম

চৌমুহনীতে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ

নোয়াখালী প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১১, ২০২৫, ০৬:৩৯ এএম

চৌমুহনীতে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার চৌমুহনী বাজারে রেলওয়ের জায়গা থেকে অবৈধ স্থাপনা, দোকানপাট উচ্ছেদ ও ২৬ শতাংশ জায়গা দখলমুক্ত করা হয়েছে। এদিকে, সদর উপজেলার সোনাপুর থেকে উত্তর সোনাপুর পর্যন্ত এলাকাজুড়ে রেলওয়ের জায়গা দখল করে গড়ে তোলা হচ্ছে একাধিক বহুতল ভবন। গতকাল বুধবার সকাল ১০টা থেকে দিনব্যাপী চৌমুহনী রেলওয়ে স্টেশন এলাকায় এই উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। 

উচ্ছেদ অভিযানের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রে ও বেগমগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেন বলেন, আমরা অভিযানে মূলত এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে কাজ করছি। উপজেলা প্রশাসনের সহায়তা অভিযানে নেতৃত্ব দেন রেলওয়ে চট্টগ্রাম বিভাগীয় ভূসম্পত্তি কর্মকর্তা খোরশেদ আলম চৌধুরী। অভিযানে চৌমুহনী রেলওয়ে স্টেশনের পশ্চিমে ও ইসলাম মার্কেটের সামনের রাস্তায় পাশে রেলওয়ের জায়াগায় অবৈধভাবে গড়ে উঠা মোবাইল মেরামতের দোকান, কাপড়ের দোকান, হোটেলসহ স্থায়ী ও অস্থায়ী ১০৭টি স্থাপনা গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। একই সঙ্গে অভিযানে রেলওয়ের ২৬ শতাংশ জায়গা দখলমুক্ত করা হয়।

রেলওয়ের চট্টগ্রাম বিভাগীয় ভূ-সম্পত্তি কর্মকর্তা খোরশেদ আলম চৌধুরী বলেন, চৌমুহনী রেলওয়ে স্টেশন এলাকায় অবৈধভাবে গড়ে উঠা স্থাপনা উচ্ছেদে এই অভিযান চালানো হয়। অভিযানে ১০৭টি স্থাপনা ও ২৬ শতাংশ জায়গা দখলমুক্ত করা হয়। জনস্বার্থে এমন অভিযান ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে।

অভিযানে রেলওয়ের চট্টগ্রাম বিভাগীয় সহকারী ভূসম্পত্তি কর্মকর্তা আকবর হোসেন মুজুমদার, রেলওয়ের কানুনগো, স্টেশন মাস্টারসহ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

অপরদিকে, জেলা সদরের সোনাপুর রেলওয়ে স্টেশন এলাকার সোনাপুর জিরোপয়েন্ট থেকে উত্তর সোনাপুর পর্যন্ত সোনাপুর-মাইজদী আঞ্চলিক সড়কের পূর্বপাশে রেলওয়ের জায়গা একসনা বন্দোবস্ত ও কোথাও কোথাও অবৈধভাবে দখলে নিয়ে গড়ে তোলা হচ্ছে বহুতল পাকা ভবন। এতে রেলওয়ের সম্পত্তি ক্রমেই হ্রাস পাচ্ছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।

স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, বিভিন্ন সময় সোনাপুর থেকে উত্তর সোনাপুর এলাকায় রেলওয়ের জায়গাগুলো দখল করে অবৈধ স্থাপনা গড়ে তোলেন প্রভাবশালীরা। সম্প্রতি নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা মাইন উদ্দিন এবং প্রবাসী নুরুল আফসার সুমন নামের দুই ব্যক্তি উত্তর সোনাপুর এলাকায় রেলওয়ের ৪ শতাংশ ভূমি একসনা বন্দোবস্ত নিয়ে বহুতল ভবন নির্মাণ করছেন। এতে স্থানীয় এলাকায় জলাবদ্ধতা তৈরি হয়েছে।

স্থানীয়দের অভিযোগ, ২০২৩ সালের ১ ডিসেম্বর ওই জায়গার বন্দোবস্ত খারিজ করে দেন রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। তারপরও তারা প্রভাব খাটিয়ে সরকারি জায়গায় বহুতল ভবন গড়ে তুলছেন।

এলাকাবাসী জানান, শুধু মাইন উদ্দিন ও নুরুল আফসার সুমনই সরকারি জায়গায় ভবন তুলেছেন এমন নয়, রেলওয়ের কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে সরকারে বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি দখল করে গড়ে তোলা হয়েছে অবৈধ স্থাপনা। জেলার চৌমুহনী এলাকার মতো উচ্ছেদ অভিযান চালিয়ে রেলওয়ের জায়গা স্থায়ীভাবে উদ্ধারের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!