যারা রিটার্ন দাখিল করেন না (নন-ফাইলার) তাদের দাখিলে উদ্বুদ্ধ করতে নির্দেশ দিয়েছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান। তিনি বলেন, অডিট সিলেকশন হতে হবে সম্পূর্ণ ডিজিটাল পদ্ধতিতে। যেখানে মানুষ্য কোনো প্রভাব কাজ করবে না। অডিটের উদ্দেশ্য কর আদায় বাড়ানো নয় বরং কর ফাঁকি রোধ করে কর সংস্কৃতির উন্নয়ন করা।
যেকোনো মূল্যে অডিট সিলেকশনে সর্বোচ্চ স্বচ্ছতা নিশ্চিতের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন তিনি। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সম্মেলন কক্ষে গতকাল সোমবার আয়কর বিভাগের জুলাই মাসের রাজস্ব পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে সভাপতিত্ব করেন সচিব, অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ ও চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান এফসিএমএ। আয়কর বিভাগের সদস্য, ঢাকার কমিশনার-মহাপরিচালক, প্রথম ও দ্বিতীয় সচিব (আয়কর বিভাগ) সভায় অংশগ্রহণ করেন এবং ঢাকার বাইরের আয়কর বিভাগের কর্মকর্তারা জুম প্লাটফর্মের মাধ্যমে যুক্ত হন।
আবদুর রহমান খান বকেয়া কর আদায় বাড়াতে সভায় অংশগ্রহণকারী কমিশনারদের নির্দেশ দেন। তিনি জোনভিত্তিক আদায়ের অগ্রগতি সম্পর্কে সংশ্লিষ্ট কমিশনারের থেকে অবগত হন। বকেয়া আদায়ে কোনো সমস্যা হচ্ছে কি না, তা জানতে চান এবং আদায় বাড়াতে করণীয় বিষয়ে দিকনির্দেশনা দেন।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের নির্দেশনা অনুসারে আয়কর নথি সংশ্লিষ্ট কর অঞ্চলে ট্রান্সফারে আরও তৎপর হওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে নির্দেশ দেন। তিনি করদাতাদের হয়রানিমুক্ত সেবা নিশ্চিতে চলতি মাসের মধ্যেই সব নথি ট্রান্সফার সম্পন্ন করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বলেন।
চেয়ারম্যান বলেন, ‘আয় ও সম্পদ বৈষম্য কমিয়ে একটি ন্যায়ভিত্তিক সমাজ গঠন এবং রাষ্ট্র পরিচালনার জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ সংগ্রহের ক্ষেত্রে মোট রাজস্ব আদায়ে আয়করের হিস্যা বাড়ানোর কোনো বিকল্প নেই। এ লক্ষ্য অর্জনে আমরা বারবার ব্যর্থ হচ্ছি। বিদায়ি অর্থবছরে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড কর্তৃক মোট রাজস্ব আদায়ের বিপরীতে আয়কর খাতের আদায়ের হার বৃদ্ধি না পেয়ে বরং কিছুটা কমেছে।’
আয়কর আদায় বাড়াতে হলে টিআইএন থাকা সত্ত্বেও যারা আয়কর রিটার্ন দাখিল করেন না এমন ৭২ লাখ করদাতা রয়েছে। রিটার্ন দাখিল করলেও যেসব করদাতা আয়কর পরিশোধ করছেন না এরূপ প্রায় ৩০ লাখ করদাতা আছেন। এই ১ কোটি করদাতার কছে থেকে তাদের সামর্থ্য অনুযায়ী আয়কর আদায় করতে হবে।
২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য আয়কর কর্মকর্তাদের অগ্রাধিকার পাবেন ১ কোটি করদাতা। এ ছাড়া, জরিপ এবং স্পট অ্যাসেসমেন্ট কার্যক্রম জোরদার করে নতুন করদাতা খুঁজে বের করার জন্য চেয়ারম্যান নির্দেশনা দেন।
আপনার মতামত লিখুন :