অস্ত্র আইনের মামলার পর এবার অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের বহিষ্কৃত নেতা ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাটের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দিয়েছে আদালত। আদালতে হাজির না হওয়ায় সম্রাটের জামিন বাতিল করে তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬-এর বিচারক জাকারিয়া হোসেন এ আদেশ দেন।
আদালতের বেঞ্চ সহকারী ফকির জাহিদুল ইসলাম এ তথ্য দিয়েছেন। এদিন মামলার অভিযোগ গঠনের জন্য ধার্য ছিল। তবে সম্রাট আদালতে হাজির হননি। তার পক্ষে আফরোজা শাহনাজ পারভীন হীরা সম্রাট অসুস্থ জানিয়ে শুনানি পেছানোর আবেদন করেন। অন্যদিকে দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদকের পক্ষ থেকে অভিযোগ গঠনের প্রার্থনা করা হয়।
শুনানি শেষে আদালত সম্রাটের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের আদেশ দেন। একই সঙ্গে জামিন বাতিল করে তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। আগামী ১৭ আগস্ট সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য করেছেন আদালত। তার আগে চলতি বছরের ২৫ জানুয়ারি অস্ত্র আইনের মামলায় সম্রাটের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। একই সঙ্গে তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানাও জারি করা হয়।
২০১৯ সালের ১২ নভেম্বর দুদকের উপপরিচালক জাহাঙ্গীর আলম ২ কোটি ৯৪ লাখ ৮০ হাজার ৮৭ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে সম্রাটের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেন। দুদকের এ কর্মকর্তাই মামলাটি তদন্ত করেন। ২০২০ সালের ২৬ নভেম্বর আদালতে মামলার অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়।
২০১৯ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর ঢাকার মতিঝিলের ক্লাবপাড়ায় র্যাবের অভিযানে অবৈধ ক্যাসিনো চলার বিষয়টি প্রকাশ্যে এলে সম্রাট আত্মগোপন করেন। এরপর ৭ অক্টোবর কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থেকে সম্রাট ও তার সহযোগী এনামুল হক আরমানকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। সেদিন বিকেলে সম্রাটকে সঙ্গে নিয়ে কাকরাইলের ভূইয়া ট্রেড সেন্টারে তার কার্যালয়ে অভিযান চালানো হয়। প্রায় পাঁচ ঘণ্টা অভিযান শেষে গুলিসহ একটি বিদেশি পিস্তল, ১১৬০টি ইয়াবা, ১৯ বোতল বিদেশি মদ, দুটি ক্যাঙ্গারুর চামড়া এবং ‘নির্যাতন করার’ বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম পাওয়ার কথা জানানো হয় র্যাবের পক্ষ থেকে।
আপনার মতামত লিখুন :