এবার অস্ট্রেলিয়ার ওয়ানডে দলেও জায়গা করে নিলেন মিচেল ওয়েন। ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে টি-টোয়েন্টি সিরিজে বিস্ফোরক ইনিংস খেলে নজর কাড়েন ২৩ বছর বয়সি ক্রিকেটার। সামর্থ্যরে ছাপ রেখেছেন তিনি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আবির্ভাবেও। টি-টোয়েন্টি সিরিজের পারফরম্যান্স আর সম্ভাবনা তাকে জায়গা করে দিয়েছে অস্ট্রেলিয়ার ওয়ানডে দলেও। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের অস্ট্রেলিয়া দলে জায়গা পেয়েছেন ওয়েন।
অনুমিতভাবেই টি-টোয়েন্টি দলেও আছেন তিনি। প্রোটিয়াদের বিপক্ষে সিরিজটি হতে চলেছে অস্ট্রেলিয়ান গ্রীষ্ম শুরুর আগে। মূল ভেন্যুগুলোতে তাই নয়, সিরিজটি হবে ডারউইন, ম্যাকাই ও কেয়ার্নসে, যেটিকে বলা হয় অস্ট্রেলিয়ার টপ এন্ড। ব্যস্ত অস্ট্রেলিয়ান মৌসুমের আগে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টিÑ দুই সিরিজেই বিশ্রাম পেয়েছেন দুই পেসার প্যাট কামিন্স ও মিচেল স্টার্ক। কামিন্সের অনুপস্থিতিতে ওয়ানডে দলকেও নেতৃত্ব দেবেন টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক মিচেল মার্শ। কামিন্স-স্টার্ক না থাকলেও দুই সিরিজের দলেই আছেন আরেক অভিজ্ঞ পেসার জশ হেজেলউড। বিশ্রাম শেষে দুই সিরিজের দলে আছেন ট্রাভিস হেডও। চোট কাটিয়ে ফিরেছেন ম্যাথু শর্ট।
ওয়েনের এত দ্রুত ওয়ানডে দলে ডাক পাওয়া একটু চমকই বলতে হবে। ১৭ লিস্ট ‘এ’ ম্যাচ খেলে তার মোট রান ৩২৬, গড় ২৫.০৭। ফিফটি ছুঁয়েছেন মোটে একবার। তবে গত ফেব্রুয়ারিতে সেই ইনিংসে অ্যাডিলেইড ওভালে সাউথ অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে তাসমানিয়ার হয়ে তিনি করেছিলেন ১০ ছক্কায় ৬৯ বলে ১৪৯ রান! তার সবশেষ লিস্ট ‘এ’ ম্যাচ সেটিই। তবে ওয়ানডে দলে জায়গা পেয়েছেন তিনি মূলত ওয়েস্ট ইন্ডিজে সদ্য সমাপ্ত টি-টোয়েন্টি সিরিজের পারফরম্যান্সে। অভিষেক টি-টোয়েন্টিতে করেছিলেন তিনি ঝড়ো ফিফটি, সিরিজের শেষ ম্যাচে ১৭ বলে ৩৭। সিরিজে তার স্ট্রাইক রেট ১৯২.৫০, ছক্কা মেরেছেন ৫ ম্যাচে ১২টি।
তার মিডিয়াম পেস বোলিংও বেশ কার্যকর। মিডল অর্ডারে ক্যারিয়ার শুরু করলেও অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটে সাড়া জাগান তিনি গত বিগ ব্যাশে ওপেন করে দুটি সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে। লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটের ওই সেঞ্চুরিও করেছেন ওপেন করেই। তবে ক্যারিবিয়ানদের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজে আবার খেলেছেন মিডল অর্ডারে অনেকটা ফিনিশারের ভূমিকায়। অস্ট্রেলিয়ার ওয়ানডে দলে তার ভূমিকা ও পজিশন নিয়ে কৌতূহল থাকবে। দীর্ঘ চোট কাটিয়ে ওয়ানডে দলে ফিরেছেন ল্যান্স মরিস। অস্ট্রেলিয়া দ্রুততম বোলারদের একজন মনে করা হচ্ছে তাকে অনেক দিন ধরেই। তবে পিছু না ছাড়া চোট, বিশেষ করে পিঠের চোট তাকে ভোগাচ্ছে বারবার। আরও এক দফায় ফিরলেন সেই চোট কাটিয়ে।
সামনে তাকে সব সংস্করণের উপযোগী করে তুলতে খুব সতর্কতায় সামলাচ্ছে ম্যানেজমেন্ট। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে তিনটি ওয়ানডে খেলেছেন ২৭ বছর বয়সি ফাস্ট বোলার, সবশেষটি গত নভেম্বরে। টি-টোয়েন্টি স্কোয়াডে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৫-০ ব্যবধানে হোয়াইটওয়াশ করা দল থেকে বাদ পড়েছেন জেইক ফ্রেজার-ম্যাকগার্ক, কুপার কনোলি, অ্যারন হার্ডি ও জেভিয়ার বার্টলেট। হার্ডি অবশ্য সিরিজের শেষ দুটি ম্যাচ খেলে কার্যকর অবদান রেখেছিনে ব্যাটে-বলে। টি-টোয়েন্টিতে না থাকলেও প্রোটিয়াদের বিপক্ষে ওয়ানডে দলে আছেন বার্টলেট। অস্ট্রেলিয়া সবশেষ ওয়ানডে খেলেছে গত মার্চে চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে। সেই দল থেকে এবার নেই ফ্রেজার-ম্যাকগার্ক, কনোলি, হার্ডি, শন অ্যাবট ও তানভির স্যাঙ্ঘা।
টি-টোয়েন্টি দলে অবশ্য আছেন অ্যাবট। স্টিভেন স্মিথ ও গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের অবসরের পর অস্ট্রেলিয়ার প্রথম ওয়ানডে সিরিজ এটি। টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচ হবে ১০ ও ১২ অগাস্ট ডারউইনে, শেষটি ১৬ অগাস্ট কেয়ার্নসে। সেখানেই ওয়ানডে সিরিজ শুরু ১৯ অগাস্ট। পরের দুই ম্যাচ ম্যাকাইতে ২২ ও ২৪ অগাস্ট।