ভারতের বিপক্ষে বৃষ্টিবিঘিœত প্রথম ওয়ানডেতে ডাকওয়ার্থ-লুইস-স্টার্ন পদ্ধতিতে ৭ উইকেটে জিতেছে অস্ট্রেলিয়া। পার্থের অপ্টাস স্টেডিয়ামে ব্যাটিংয়ে নেমে ২৬ ওভারে ৯ উইকেটে ১৩৬ রান করে ভারত। ডাকওয়ার্থ-লুইস-স্টার্ন পদ্ধতিতে স্বাগতিকেরা পায় ১৩১ রানের লক্ষ্য। এই লক্ষ্য তারা ছুঁয়ে ফেলে ২৯ বল বাকি থাকতেই। টস হেরে ব্যাট করতে নেমে চার দফায় বৃষ্টির কবলে পড়ে ভারত। প্রতিবারই কমে ম্যাচের দৈর্ঘ্য। ৪৯, ৩৫, ৩২ এবং সবশেষে থিতু হয় ২৬ ওভারে। বৃষ্টির ফাঁকে ফাঁকে যখনই খেলা হয়েছে, ভুগেছে ভারতের ব্যাটিং। নবম ওভারে প্রথমবার বৃষ্টি নামার আগেই ২৫ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় ভারত। সেই ধাক্কা আর কাটিয়ে উঠতে পারেনি তারা। সাত মাস পর পর দেশের হয়ে প্রথমবার খেলতে নেমে ৮ রান করে ফেরেন রোহিত শার্মা।
রানের খাতাই খুলতে পারেননি ভিরাট কোহলি। ওয়ানডেতে সপ্তমবার শূন্য রানে বিদায় নেন তিনি। রোহিতকে থামান জশ হেজেলউড, কোহলির উইকেট নেন মিচেল স্টার্ক। দুই অভিজ্ঞ পেসার সুর বেঁধে দেওয়ার পর দারুণ সংগত করেন বাকিরাও। ভারতের নতুন ওয়ানডে অধিনায়ক শুভমান গিলকে ১০ রানে থামান ন্যাথান এলিস। দুই অঙ্ক ছুঁয়ে ফেরেন শ্রেয়াস আইয়ার। ভারতকে এরপর কিছুটা টানেন আকসার প্যাটেল ও লোকেশ রাহুল। দ্রুত রান তোলার চেষ্টায় থাকা পঞ্চম উইকেট জুটি ভাঙেন ম্যাথু কুনেমান। ৩ চারে ৩৮ বলে ৩১ রান করে ফেরেন আকসার। সাবলীল ব্যাটিং করছিলেন রাহুল। দুটি করে ছক্কা ও চারে ৩১ বলে তিনি করেন সর্বোচ্চ ৩৮ রান। তাকে ফিরিয়ে ওয়ানডে অভিষেকে নিজের প্রথম উইকেট নেন মিচেল ওয়েন। পরে তিনি পান হার্শিত রানার উইকেট। অভিষেকে ২ ছক্কায় ১১ বলে অপরাজিত ১৯ রান করেন নিতিশ কুমার রেড্ডি।
ম্যাট রেনশ ক্যাচ না ছাড়লে এই উইকেটও পেতেন ওয়েন। দুটি করে উইকেট নেন ওয়েন, হেজেলউড ও কুনেমান। রান তাড়ায় দ্রুত ফেরেন ট্রাভিস হেড ও ম্যাথু শর্ট। কিন্তু এক প্রান্ত আগলে রেখে দলকে এগিয়ে নেন মার্শ। তৃতীয় উইকেটে উইকেটরক্ষক ফিলিপের সঙ্গে তার ৫৪ রানের জুটিতে জয়ের পথে এগিয়ে যায় অস্ট্রেলিয়া। ২৯ বলে ২ ছক্কা ও ৩ চারে ৩৭ রান করা ফিলিপের বিদায়ের পর বাকিটা সারেন মার্শ ও রেনশ। অস্ট্রেলিয়া অধিনায়ক ৩ ছক্কা ও ২ চারে ৫২ বলে অপরাজিত থাকেন ৪৬ রানে। অভিষেকে ১টি করে ছক্কা ও চারে রেনশ করেন ২১ রান। আগামী বৃহস্পতিবার অ্যাডিলেডে হবে দ্বিতীয় ওয়ানডে।
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন