উরুর ইনজুরির সঙ্গে লড়ছেন চেলসি ফরোয়ার্ড কোল পারমার। আরো ছয় সপ্তাহের জন্য মাঠের বাইরে থাকতে হচ্ছে তাকে। চেলসি কোচ এনজো মারেসকা এ তথ্য নিশ্চিত করেন। আগে বলা হয়েছিল, চলতি মাসে আন্তর্জাতিক বিরতি শেষে পালমার মাঠে ফিরতে পারেন। ওই সময় অস্ত্রোপচারবিহীন চিকিৎসার একটি বিকল্প উপায় খোঁজার চেষ্টা করেছে চেলসি। কিন্তু পরে কোচ মারেসকা বলেছেন, ‘দুর্ভাগ্যবশত আমি ভুল ছিলাম। এখন তাকে আরও ছয় সপ্তাহ বিশ্রামে থাকতে হবে। এটাই এখনকার সর্বশেষ আপডেট। আমরা কোলকে যতটা সম্ভব রক্ষা করার চেষ্টা করছি। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো, সে যখন ফিরবে তখন যাতে শতভাগ ফিট হয়ে ফিরতে পারে। মেডিকেল স্টাফরা জাদুকর নয়। কেউই কখনো নির্দিষ্ট করে কোনো সময় বলতে পাওে না। হতে পারে তার ছয় সপ্তাহের প্রয়োজন। আমরা আশা করছি, ছয় সপ্তাহই তার জন্য যথেষ্ট। আমাদের ধীরে এগোতে হচ্ছে, এটাই সমস্যা। তবে তাকে দেখে ভালো লাগছে। প্রয়োজনমতো সব ধরনের চেষ্টাই সে করছে।’
গত মাসে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের কাছে পরাজয়ের ম্যাচটিতে পালমার মাত্র ২১ মিনিট পর মাঠ ছাড়তে বাধ্য হন। তার পর থেকে ইনজুরি আক্রান্ত মৌসুমে আর খেলতে পারেননি। সব ধরনের প্রতিযোগিতায় এবার পালমার মাত্র দুটি ম্যাচে মূল দলে খেলেছেন। এদিকে আন্তর্জাতিক বিরতি শেষে এ সপ্তাহ থেকে শুরু হওয়া প্রিমিয়ার লিগে নটিংহ্যাম ফরেস্টের বিপক্ষে এখনো খেলা নিয়ে শঙ্কায় আছেন মোয়েসিস কেইসেডো, পেড্রো নেটো ও এনজো ফার্নান্দেজ। তবে সুস্থ হয়ে মাঠে ফেরার অপেক্ষায় রয়েছেন টোসিন আদারাবিয়ো, ওয়েসলি ফোফানা ও আন্দ্রে সান্তোস। মারেসকা বলেন, ‘কোলের বিকল্প খুঁজে পাওয়া কঠিন। কারণ, সে আমাদের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একজন খেলোয়াড়। সম্ভবত প্রিমিয়ার লিগের অন্যতম সেরা খেলোয়াড়। তার মানের একজন খেলোয়াড় পাওয়া সব সময়ই কঠিন। এটা নির্ভর করে গেম প্ল্যানের ওপর। লিভারপুলের বিপক্ষে ওই পজিশনে মালো গুস্তো ছিলেন। বেনফিকার বিপক্ষে ছিলেন ফাকুন্ডো। আমাদের ভিন্ন ভিন্ন সমাধান খুঁজে বের করতে হচ্ছে। তবে আমাদের দলে পালমারের মতো দ্বিতীয় কোনো খেলোয়াড় নেই। সে সত্যিই অনন্য।’
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন