ঢাকা শনিবার, ২৫ অক্টোবর, ২০২৫

বাংলাদেশের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ

স্পিন শক্তি বাড়াল ওয়েস্ট ইন্ডিজ

মাঠে ময়দানে প্রতিবেদক
প্রকাশিত: অক্টোবর ২৫, ২০২৫, ০২:০৫ এএম

মিরপুরের কালো মাটির উইকেটে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে বেশ দাপট দেখিয়েছে স্পিনাররা। এবার চট্টগ্রামের মাঠে টি-টোয়েন্টি সিরিজে কী উইকেট অপেক্ষা করছে, সেটিই দেখার বিষয়। তবে টি-টোয়েন্টি সিরিজ সামনে রেখে দলে স্পিন শক্তি বাড়াল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। চট্টগ্রামে আরও ভালো উইকেট দেখা যাবে এমন প্রত্যাশার কথা বলেছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রধান কোচ ড্যারেন স্যামি। বাঁহাতি স্পিনার খারি পিয়েরেকে টি-টোয়েন্টি সিরিজের দলে অন্তর্ভুক্ত করেছে ক্যারিবীয়রা। পিয়েরেকে নিয়ে সব মিলিয়ে তিনজন বাঁহাতি স্পিনার এখন সফরকারী দলে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের টি-টোয়েন্টি দলে থাকা দুই স্পিনার আকিল হোসেন ও গুড়াকেশ মোতি খেলেছেন ওয়ানডে সিরিজেও। মিরপুরে শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে ওয়ানডে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচ ১৭৯ রানে জিতে সিরিজও ২-১-এ জিতে নেয় বাংলাদেশ। এবার পিয়েরেকে অন্তর্ভুক্ত করা হলেও টি-টোয়েন্টি দলে থাকা দুই পেসার শামার জোসেফ আর জেডিয়াহ ব্লেডস চোটের কারণে ছিটকে গেছেন। টি-টোয়েন্টিতে তাই ওয়েস্ট ইন্ডিজের স্কোয়াডটা থাকছে ১৪ জনের।

স্পিনারদের দাপটের ওয়ানডে সিরিজে তেমন সুবিধা করতে পারেনি ওয়েস্ট ইন্ডিজ। দ্বিতীয় ওয়ানডেতে সুপার ওভারে জিতলেও বাকি দুটিতেই তারা হেরেছে বড় ব্যবধানে। তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে দুই দল মিলিয়ে সর্বোচ্চ ৪৪ উইকেট নেওয়ার ঘটনাও ঘটেছে এবার। প্রতিপক্ষের পাতা ফাঁদের চেয়ে স্যামি ওয়ানডে সিরিজে হারের দায়টা নিয়েছেন নিজের কাঁধেই। তিনি বলেছেন, ‘উইকেটটা আমাদের কাছে নতুন ছিল। কিন্তু এক দল এই উইকেটে খেলল, আরেক দল অন্যটায়; বিষয়টা তো এমন নয়। সবাই একই জায়গায় খেলেছে। এখানেই বোঝা যায়, কে মানিয়ে নিতে পেরেছে, কে পারেনি। বাংলাদেশের খেলোয়াড়েরা আমাদের চেয়ে এই জায়গায় এগিয়ে ছিল।’ ঘরের মাঠে সুবিধা কাজে লাগানোর সংস্কৃতিটা অনেক দিনেরই। যেকোনো স্বাগতিক দলই তাদের সুবিধামতো উইকেট তৈরি করে। তবে তাতে অনেক সময় দেশের বাইরে খেলতে গেলে বিপদে পড়তে হয়। ওই শঙ্কা থাকলেও ঘরের মাঠের সুবিধা নেওয়ার পক্ষে বাংলাদেশের অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ। তার সঙ্গে একমত স্যামিও। তিনি বলেন, “আমি সব সময়ই ‘হোম অ্যাডভান্টেজ’ নেওয়ার পক্ষে। বাংলাদেশ দলকে তো আমি বলতে পারি না, কী ধরনের উইকেট তৈরি করতে হবে। আমার দল যেন দেশের বাইরে খেলতে গেলে যেকোনো পরিস্থিতি সামলানোর মতো দক্ষতা অর্জন করে, সেদিকেই আমার মনোযোগ থাকে।”