ঢাকা শুক্রবার, ৩১ অক্টোবর, ২০২৫

উইন্ডিজের বিপক্ষে শেষ টি-টোয়েন্টি

ডট বল কমিয়ে সফল হতে চান তানজিদরা

মাঠে ময়দানে প্রতিবেদক
প্রকাশিত: অক্টোবর ৩১, ২০২৫, ০১:৩৯ এএম

ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে চলমান টি-টোয়েন্টি সিরিজে ব্যাটিংয়ে ধারাবাহিক ব্যর্থ হচ্ছে বাংলাদেশ। এই ব্যর্থতার কারণে উইন্ডিজের কাছে তিন ম্যাচের সিরিজ ২-০ ব্যবধানে হার নিশ্চিত হয়েছে তাদের। আজ সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে আবার মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এই ম্যাচের আগে বাংলাদেশের ভাবনায় এখন ডট বল। গত ম্যাচের প্রচুর ডট বল খেলেছেন ব্যাটসম্যানরা। এর আগের ম্যাচেও ডট বল বেশি খেলেছেন তারা। তাই কীভাবে ডট বল কম খেলে সফল হওয়ায় যায়, সেটি নিয়েই ভাবনায় এখন বাংলাদেশ।

টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে প্রতিটি বলই গুরুত্বপূর্ণ। এই ফরম্যাটের ক্রিকেটে ব্যাটসম্যানদের ডট বল খেলাটা রীতিমতো অন্যায়ের পর্যায়ে পড়ে! অথচ ম্যাচের পর ম্যাচ প্রচুর ডট বল খেলে যাচ্ছেন বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা। ডট বলের সংখ্যা কিছুতেই কমানো যাচ্ছে না। যদিও ডট বল খেলারই অংশ। বড় জুটি গড়তে কিংবা উইকেটের পতন ঠেকাতে ডট বল খেলতে বাধ্য হন ব্যাটসম্যানরা। তবে সেটির পরিমাণ যদি মাত্রারিক্তি হয়ে যায়, তাহলে খেসারত দিতে হয় দলকে। টানা ম্যাচ হেরে বাংলাদেশ সেই খেসারত দিচ্ছে। বোলাররা কম রানে প্রতিপক্ষকে আটকে রাখলেও ব্যাটিং ব্যর্থতায় ম্যাচ হাতছাড়া হচ্ছে বারবার। গত বুধবার চট্টগ্রামে টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৪৯ রান করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।

জবাবে ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৩৫ রান করে বাংলাদেশ। ১৪ রানে হারের দিনেও প্রচুর ডট বল খেলেছেন স্বাগতিক ব্যাটসম্যানরা। ম্যাচ শেষে ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম বললেন, ‘এই জায়গাটায় যদি আমরা একটু ডট বলগুলো কমাতে পারতাম, তাহলে হয়তো আমাদের চাপটা একটু কম হতো। কিন্তু হয় নাই। এটা আমাদের খুঁজে বের করতে হবে যে, কীভাবে ডট বল আরও কম করে খেলাটাকে আগে নিয়ে যাওয়া যায়।’

বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ে সময়টা ভালো যাচ্ছে না বলে মনে করেন তানজিদ। তিনি বলেন, ‘হয়তো আমাদের জন্য একটা খারাপ সময় যাচ্ছে। আমরা ধারাবাহিকভাবে ওইভাবে ব্যাটসম্যানরা তৈরি করতে পারছি না। আমাদের খুঁজে বের করতে হবে, আমরা কীভাবে ধারাবাহিক হতে পারি এবং কীভাবে এই মাঝের ওভারগুলোতে আরও ডট বলের সংখ্যা কমিয়ে খেলাটাকে বড় করতে পারি। এটাই আমাদের সবাই মিলে খুঁজে বের করতে হবে।’

ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ৪৮ বলে ৬১ রানের ইনিংস খেলেছেন তানজিদ। কিন্তু তার ব্যাটিং নৈপুণ্য ম্লান হয়ে যায় দল ম্যাচ হারায়। এই তরুণ ওপেনার বলেন, ‘আসলে ম্যাচ না জেতায় কিছুর ভ্যালু থাকে না। উইকেট যেমন ছিল, সেট ব্যাটসম্যানদেরই শেষ করতে হয় এখানে। উইকেট একটু স্কিডি ছিল, বল আসছিল না ব্যাটে। নতুন ব্যাটসম্যানদের জন্য এই উইকেট একটু কঠিনই হিটিং করার। আমার কাছে মনে হয়, আমি যদি শেষ পর্যন্ত থাকতে পারতাম, ম্যাচটা বের হয়ে যেতো।’

সিরিজ বাঁচানোর ম্যাচ বের করে নিতে না পারলেও আজ শেষ ম্যাচটি জয়ে রাঙিয়ে দেওয়ার লক্ষ্য থাকবে টাইগারদের। তবে এ জন্য ব্যাটিংয়ে নিজেদের স্বরূপে ফিরতে হবে। যদি নিজেদের সামর্থ্য অনুযায়ী সেরাটা নিংড়ে দিয়ে খেলতে পারেন ব্যাটসম্যানরা, তাহলে বাংলাদেশ জয়ের মুখ দেখতে পারে। বাংলাদেশের জয়ে ফেরার প্রত্যাশায় দেশের ক্রিকেটপ্রেমীরা।