ধানমন্ডির রিয়া গোপ মহিলা ক্রীড়া কমপ্লেক্সে গত বৃহস্পতিবার শুরু হয়েছে ষষ্ঠ জাতীয় নারী বেসবল চ্যাম্পিয়নশিপ। এই প্রতিযোগিতা চলবে ১ নভেম্বর পর্যন্ত। তিন দিনব্যাপী এই প্রতিযোগিতায় এবার নতুনত্ব এসেছে। আগের প্রতিযোগিতাগুলো আয়োজন করা হতো শুধু ঢাকাকেন্দ্রিক দল নিয়ে। এবার প্রথমবারের মতো ঢাকার বাইরের দল নিয়ে হচ্ছে জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপ। দুটি সার্ভিসেস দল (বাংলাদেশ আনসার ও ভিডিপি এবং বাংলাদেশ পুলিশ), ঢাকা ও ঢাকার বাইরের চারটি ক্লাব (চট্টগ্রাম বেসবল ক্লাব, স্যান্ড অ্যাঞ্জেলস বেসবল ক্লাব, সাভার কমিউনিটি ক্লাব ও জয়পুরহাট বেসবল-সফটবল ক্লাব) এবং ঢাকাসহ ছয়টি জেলা দল (ঢাকা, জয়পুরহাট, নারায়ণগঞ্জ, সিলেট, চাঁদপুর ও কুষ্টিয়া) প্রতিযোগিতায় অংশ নেবে। তৃণমূলে বেসবল ছড়িয়ে দেওয়ার লক্ষ্যে প্রতিযোগিতার বিস্তৃতি বাড়িয়েছে বাংলাদেশ বেসবল-সফটবল অ্যাসোসিয়েশন। শুধু তাই নয়, এবার নারী চ্যাম্পিয়নশিপে প্রতি ম্যাচে খেলোয়াড়ের নগদ অর্থের পুরস্কারও দেওয়া হবে। নারী চ্যাম্পিয়নশিপ আয়োজন উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত তথ্য জানানো হয়েছে। বাংলাদেশ বেসবল-সফটবল অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক তালহা জুবায়ের জানালেন, নতুন দায়িত্ব পাওয়ার পর এটিই তাদের প্রথম প্রতিযোগিতার আয়োজন।
তবে এখনো নারী বেসবল দেশে সেভাবে প্রতিষ্ঠিত হতে পারেনি। এ কারণে স্পনসর পাওয়া কঠিন। নিজেদের উদ্যোগেই প্রতিযোগিতাটি আয়োজন করছেন তারা। নারী চ্যাম্পিয়নশিপের পর জাতীয় পুরুষ চ্যাম্পিয়নশিপের খেলার দিণক্ষণ ঘোষণা করবে অ্যাসোসিয়েশন। বাংলাদেশের বেসবলকে আন্তর্জাতিক পরিম-লেও প্রতিষ্ঠিত করার আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন সাউথ এশিয়ান বেসবল-সফটবল অ্যাসোসিয়েশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট ও বাংলাদেশের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ডা. অনুপম হোসেন। তিনি বলেন, ‘সাউথ এশিয়ান গেমসে বেসবলকে আমরা অন্তর্র্র্র্র্ভুক্ত করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। আর দেশে তৃণমূল পর্যায়ে বেসবলকে ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য আমরা কাজ করছি। এ জন্য আপনাদের সহযোগিতা প্রয়োজন।’
বাংলাদেশ বেসবল অ্যাসোসিয়েশনের আগের কমিটি কোনো হিসাব দেয়নি বর্তমান কমিটিকে। এমন অভিযোগ করে নতুন কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইমাম হোসেন সোহাগ বলেন, ‘তারা (আগের কমিটি) শুধু আমাদের চাবিটাই দিয়ে গেছেন। ব্যাংক হিসাবটা পর্যন্ত দেয়নি আমাদের। আমরা নতুন শুরু করেছি।’ নারী চ্যাম্পিয়নশিপ দিয়ে বেসবলের নবযাত্রায় সবার সহযোগিতা চেয়েছেন সাধারণ সম্পাদক তালহা জুবায়ের।

