বুধবার, ০৫ নভেম্বর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


মাঠে ময়দানে প্রতিবেদক

প্রকাশিত: নভেম্বর ৫, ২০২৫, ০৩:৩৪ এএম

ঢাকায় ২৪তম এশিয়ান আরচারি চ্যাম্পিয়নশিপ

পদক জিতেই চমক দিতে চায় বাংলাদেশ

মাঠে ময়দানে প্রতিবেদক

প্রকাশিত: নভেম্বর ৫, ২০২৫, ০৩:৩৪ এএম

পদক জিতেই চমক দিতে চায় বাংলাদেশ

আগামী ৮ থেকে ১৪ নভেম্বর ঢাকায় বসছে এশিয়ান আরচারির সবচেয়ে বড় আসর ‘এশিয়ান আরচারি চ্যাম্পিয়নশিপ ২০২৫’। এবার ২৪তম আসর হচ্ছে। এবারই প্রথম নয়, এর আগে দুবার এশিয়ান আরচারির সর্বোচ্চ এই প্রতিযোগিতা আয়োজন করেছে বাংলাদেশ। নিলামে অংশ নিয়ে চীনকে হারিয়ে তৃতীয়বারের মতো এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের আয়োজক হওয়ার সুযোগ মিলেছে বাংলাদেশের। এবারের আসরে মোট ৩০টি দেশ অংশ নিচ্ছে। স্বাগতিক বাংলাদেশসহ ভুটান, চীন, ইন্দোনেশিয়া, ইরান, ইরাক, জর্ডান, কাজাখস্তান, কিরগিজস্তান, দক্ষিণ কোরিয়া, সৌদি আরব, লেবানন, মালয়েশিয়া, নেপাল, পাকিস্তান, ফিলিস্তিন, কাতার, সিরিয়া, শ্রীলঙ্কা, থাইল্যান্ড, তাজিকিস্তান, তুর্কমেনিস্তান, তিমুর লেস্তে, চায়নিজ তাইপে, সংযুক্ত আরব আমিরাত, উজবেকিস্তান, ভিয়েতনাম, ইয়েমেন। সব দেশের খেলোয়াড় মিলে মোট ২০৯ জন প্রতিযোগী রিকার্ভ ও কম্পাউন্ড ইভেন্টে পদকের লড়াইয়ে নামবেন। এর মধ্যে ১১৯ জন পুরুষ ও ৯০ জন নারী আরচার রয়েছেন। আসন্ন আরচারি চ্যাম্পিয়নশিপ হবে জাতীয় স্টেডিয়াম ও বাংলাদেশ আর্মি স্টেডিয়ামে।

এশিয়ান আরচারি চ্যাম্পিয়নশিপ উপলক্ষ্যে মঙ্গলবার রাজধানীর একটি পাঁচতারকা হোটেলে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে বিস্তারিত তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশ আরচারি ফেডারেশন। এরই মধ্যে বাংলাদেশ এশিয়ান প্রতিযোগিতার জন্য মোট ১৬ জন আরচারের নাম ঘোষণা করেছে। রোমান সানা, দিয়া সিদ্দিকীরা ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য বিদেশে চলে যাওয়ায় তরুণদের নিয়ে দল গড়েছে বাংলাদেশ। এ দল নিয়ে পদক জয়ের ঘোষণা সরাসরি না দিলেও আরচারি ফেডারেশনের পক্ষ থেকে যা বলা হয়েছে, তা হলো আসন্ন প্রতিযোগিতায় পদক জিতে চমক দিতে চায় স্বাগতিকেরা। এর আগে ২০২১ সালে এশিয়ান আরচারিতে একটি রৌপ্য ও দুটি ব্রোঞ্জ পদক জিতেছিল লাল-সবুজের জার্সিধারীরা। সেই সুখস্মৃতি এবার ঘরের মাটিতে পুনরাবৃত্তি ঘটানোর লক্ষ্য থাকবে তাদের।

এশিয়ান আরচারি ফেডারেশনের ভাইস-প্রেসিডেন্ট এবং বাংলাদেশ আরচারি ফেডারেশনের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান কমিটির সদস্য রাজীব উদ্দিন আহমেদ চপল জানালেন, এবার এশিয়ান কাপ আরচারিতে যেকোনো ঘটনা ঘটিয়ে দিতে পারে বাংলাদেশ। আরচারির ইতিহাসে সব প্রতিযোগিতা মিলে মোট ৪৩টি স্বর্ণপদক এবং ৫০টি রৌপ্য ও ব্রোঞ্জ পদক জিতেছে বাংলাদেশের আরচাররা। এই রেকর্ড আরও সমৃদ্ধ করার লক্ষ্য থাকবে তাদের। ঘরের মাঠে প্রতিযোগিতা হলেও বাংলাদেশের সামনে চ্যালেঞ্জ থাকছে। কেননা, গত ৫০ বছর ধরে এশিয়ান আরচারি শাসন করছে দক্ষিণ কোরিয়া। অলিম্পিক আসরে নিয়মিত স্বর্ণপদক জেতে তারা। এ ছাড়া ভারতও আন্তর্জাতিক আরচারিতে দাপট দেখায়। তবে তাদের বিপক্ষেও অতীতে ভালো লড়াই করার প্রমাণ দিয়েছেন বাংলাদেশের আরচাররা। দক্ষিণ কোরিয়ার বিপক্ষে দুবার আন্তর্জাতিক আরচারিতে সেমিফাইনালে লড়েছে বাংলাদেশ। এবার ঘরের মাঠে সেই অভিজ্ঞতা কাজে দেবে তাদের। এবার যেসব দেশ বাংলাদেশে অনুষ্ঠেয় প্রতিযোগিতায় অংশ নিচ্ছে, তারা সম্ভাব্য অলিম্পিক ও সেরা দলটিই লড়াই করবে বলে মনে করেন রাজীব উদ্দিন আহমেদ চপল। তিনি বলেন, ‘অংশ নেওয়া দেশগুলো অলিম্পিক দল ও সেরা দল নিয়েই আসছে।’

এবার রোমান সানা কিংবা দিয়া সিদ্দিকীর মতো তারকা আরচাররা খেলছেন না। তারা উন্নত জীবনের আশায় যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমিয়েছেন। তাদের ধরে রাখতে না পারা প্রসঙ্গে রাজীব উদ্দিন আহমেদ চপল বলেন, ‘কেউ যদি চলে যেতে চায়, তাকে ধরে রাখা যায় না। তাদের ভালো পারফরম্যান্স থাকলে চলে যেত না। যাই হোক, এখানে এ নিয়ে বেশি কথা বলতে চাইছি না। যারা আমাদের আরচাররা আছেন, তাদের ভালো সক্ষমতা আছে। তবে আগেই আশা দিচ্ছি না।’ চপল আরও জানান, নতুন তারকা আরচার তৈরি করবেন তারা।

জাতীয় স্টেডিয়ামেই এশিয়ান আরচারির পুরো খেলা হওয়ার কথা ছিল। এই ভেন্যু পাওয়ার জন্য অনেক আগেই জাতীয় ক্রীড়া পরিষদকে চিঠি দিয়েছিল আরচারি ফেডারেশন। কিন্তু হঠাৎ করেই ১৩ নভেম্বর বাংলাদেশ ফুটবল দলের একটি ম্যাচ আয়োজনকে কেন্দ্র করে এশিয়ান আরচারির অর্ধেক খেলা জাতীয় স্টেডিয়ামে আর অর্ধেক খেলা আর্মি স্টেডিয়ামে স্থানান্তর করা হয়েছে। এতে আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা আয়োজনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের ইমেজে প্রভাব পড়বে না? ভেন্যু ব্যবস্থাপনা প্রসঙ্গে আরচারি ফেডারেশনের সভাপতি ড. মোখলেসুর রহমান বলেন, ‘ভেন্যুটিতে পুরো খেলা আয়োজন করার জন্য আমাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা ছিল। ভবিষ্যতে একক ভেন্যুর ব্যাপারে আমরা সর্বোচ্চ সতর্ক থাকব।’ টঙ্গীর যে স্টেডিয়ামে আরচাররা ট্রেনিং করেন, সেখানকার পরিবেশ অপরিচ্ছন্ন ও ক্রীড়াবান্ধব নয়। এ প্রসঙ্গে আরচারি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক তানভীর আহমেদ নিজেদের ব্যর্থতা স্বীকার করে বলেন, ‘যেটা বলেছেন, সেটি ঠিক আছে। তবে আমরা পরিবেশ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি। মশা নিধনের জন্য যন্ত্র কিনেছি। খেলোয়াড়দের স্বাস্থ্যসম্মত খাবার দেওয়া হয়। আমাদের বেশির ভাগ খেলোয়াড় চাকরিরত। তার পরও প্রত্যেককে আমরা ভাতা দেই।’ ২০১৭ সাল থেকে আরচারির পৃষ্ঠপোষকতা করে আসছে সিটি গ্রুপ। এই গ্রুপের পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলনে প্রতিনিধিত্ব করা জাফর উদ্দিন সিদ্দিকী বলেন, ‘আরচারি সম্ভাবনাময় খেলা। এখনে ফিজিক্যাল স্কিলটা অতটা লাগে না। আসন্ন টুর্নামেন্টে বাংলাদেশ ভালো করবে বলে আশাবাদী আমরা। আপনারা (ক্রীড়া সাংবাদিকেরা) আরচারির গঠনমূলক সমালোচনা করবেন। আপনাদের মাধ্যমে আরচারি আরও এগিয়ে যাবে।’ এশিয়ান আরচারি চ্যাম্পিয়নশিপে হসপিটালিটি পার্টনার হয়েছে ইন্টার কন্টিনেন্টাল হোটেল।

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!