হংকং সিক্সেস টুর্নামেন্টে কোয়ার্টার ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার কাছে ৫৪ রানে হেরে বিদায় নিল বাংলাদেশ। একই দিন ব্যাট হাতে রীতিমতো ঝড় তুললেন পাকিস্তানের আবদুস সামাদ। মাত্র ১০ বলে ফিফটির ইনিংস খেলে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে পাকিস্তানকে দারুণ এক জয় এনে দিলেন এই ব্যাটসম্যান। দক্ষিণ আফ্রিকার দেয়া ১০৩ রানের লক্ষ্য পাকিস্তান মাত্র ৩.৫ ওভারে এক উইকেট হারিয়ে ৫ উইকেটের বড় জয় তুলে নেয়।
টস জিতে দক্ষিণ আফ্রিকা প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ৬ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ১০২ রান সংগ্রহ করে। জবাবে খেলতে নেমে সামাদ ও খাজা নাফের আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে শুরু থেকেই দাপট দেখায় পাকিস্তান। নাফে ১৩ বলে ৩৬ রান করে ফিরলেও, সামাদ একাই ম্যাচ ঘুরিয়ে দেন। আবদুল সামাদ চতুর্থ ওভারে জর্ডান মরিসকে টানা ৫টি ছক্কা হাঁকান। এই ছক্কাগুলোর সুবাদেই তিনি মাত্র ১০ বলে ফিফটি স্পর্শ করেন। তার এই ইনিংসে ছিল ৮টি ছক্কা। আরেক ব্যাটার আব্বাস আফ্রিদি অপরাজিত ছিলেন ২ বলে ১২ রানে। পাকিস্তানের এই জয়ে টুর্নামেন্টে তাদের অবস্থান আরও শক্তিশালী হলো। এর আগে প্রথমে ব্যাট করে জোরিখ ফন শালকউইকের ১৩ বলে ৪০, ব্লেক স্নিজম্যানের ৯ বলে ২৯ ও ইথান-জন কানিংহামের ১০ বলে ২৯ রানের কল্যাণে ৩ উইকেটে ১০২ রান তুলেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। পাকিস্তানের পেসার শাহজাদ ১ ওভারে ১১ রান দিয়ে নিয়েছেন ৩ উইকেট।
এদিকে, কোয়ার্টারে অস্ট্রেলিয়ার কাছে পাত্তা পেল না আকবর আলীর দল বাংলাদেশ। মংককের মিশন রোড মাঠে টুর্নামেন্টের প্রথম কোয়ার্টার ফাইনালে বাংলাদেশকে ৫৪ রানের বড় ব্যবধানে হারিয়ে প্রথম দল হিসেবে সেমিফাইনালে পৌঁছে গেছে অস্ট্রেলিয়া। আগে ব্যাট করে ২ উইকেটে রেকর্ড ১৪৯ রান করে অস্ট্রেলিয়া। জবাবে ৫ উইকেট হারিয়ে ৯৫ রান তুলেছিল বাংলাদেশ। এ হারের ফলে বাংলাদেশ নেমে গেল প্লেট পর্বে। আগামীকাল রোববার প্লেট সেমি-ফাইনালে খেলবে তারা। প্রতিপক্ষ এখনো নির্ধারিত হয়নি। এদিন প্রথমে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশের ওপর রীতিমতো ঝড় বইয়ে দেন অজি ব্যাটাররা। ৬ ওভারের ম্যাচে গুণে গুণে ২১ ছক্কা হজম করেছেন আবু হায়দার রনিরা। তাদের তুলাধুনো করে এবারের আসরের সর্বোচ্চ রানের রেকর্ডটাও গড়েছে অস্ট্রেলিয়া। ৮ ছক্কায় ১৪ বলে ৫১ রান করে বাধ্যতামূলক অবসরে যান বেন মেকডরমেট। ৫ ছক্কায় ৬ বলে ৩০ রান করে আউট হন উইলিয়াম বসিস্টো। অধিনায়ক অ্যালেক্স রসের ব্যাট থেকে আসে ২ চার ও ৭ ছক্কায় ১১ বলে ৫০ রান। বড় টার্গেট তাড়ায় নেমে প্রথম ওভারেই তিন ব্যাটারকে হারিয়ে ফেলে বাংলাদেশ। এরপর মাত্র ১৯ রানের মাথায় ৪ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। পঞ্চম উইকেটে ৬০ রানের জুটি গড়েন রকিবুল হাসান ও আবু হায়দার রনি। ১ চার ও ৩ ছক্কায় ১০ বলে ২৫ রান করেন রকিবুল। শেষ দিকে একা ব্যাটিং করা রনির ব্যাট থেকে আসে ২ চার ও ৭ ছক্কায় ১৮ বলে ৫০ রান।

