দুই বছর আগে পর্তুগালের লিসবনের মাঠে সেনেগালের কাছে ৪-২ গোলে হেরে গিয়েছিল পাঁচবারের বিশ^চ্যাম্পিয়ন ব্রাজিল। এবার সেনেগালকে ২-০ গোলে হারিয়ে প্রতিশোধ নিল তারা। লন্ডনের এমিরেটস স্টেডিয়ামে প্রীতি ম্যাচে তেরাঙ্গার সিংহদের বিপক্ষে ব্রাজিলের হয়ে দুটি গোল করেন এস্তেভাও ও অভিজ্ঞ কাসেমিরো। অপর প্রীতি ম্যাচে ব্রাজিলের প্রতিবেশী আর্জেন্টিনা ২-০ গোলে হারায় আফ্রিকার আরেকটি দল অ্যাঙ্গোলাকে।
এবার আফ্রিকা-জুজু দূর হলো ব্রাজিলের। কেননা এর আগে আফ্রিকান দলের বিপক্ষে চার ম্যাচের মধ্যে তারা তিনটিতেই হেরে গিয়েছিল। সেনেগালের আগে মরক্কো ও ক্যামেরুনের কাছেও হেরেছিল দলটি। কোচ কার্লো আনচেলত্তির দল শুরু থেকেই দাপট দেখায়। এস্তেভাও, মাতেউস কুনিয়া, রদ্রিগো ও ভিনিসিয়ুস জুনিয়রকে নিয়ে গড়া আক্রমণভাগ প্রথমার্ধজুড়ে সেনেগালের রক্ষণে চাপ ধরে রাখে। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের ফরোয়ার্ড কুনিয়ার হেড ক্রসবারে লেগে ফিরে না আসলে ব্রাজিল এগিয়ে যেতে পারত ১৭ মিনিটেই। তবে চেলসির তরুণ ফরোয়ার্ড এস্তেভাও ২৮ মিনিটে দলকে এগিয়ে দেন। পেনাল্টি বক্সের ডান পাশ থেকে তার নিখুঁত শট সেনেগালের গোলরক্ষক এদুয়ার্দ মেন্দিকে পরাস্ত করে দূরের পোস্টে জড়ায়। ব্রাজিলের হয়ে এটি তার ১০ ম্যাচে চতুর্থ গোলÑ আগামী বছরের বিশ্বকাপে নজর কাড়তে পারেন, এমন আরেকটি ইঙ্গিতই দিয়ে রাখছেন এস্তেভাও। ৩৫ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন অধিনায়ক কাসেমিরো। রদ্রিগোর নেওয়া ফ্রি-কিক দারুণভাবে নিয়ন্ত্রণ করে ফাঁকা জায়গায় থেকে করা বাঁকানো শট জড়ায় জালের উঁচু কোণে। বিরতির পর সেনেগালের ইলিমান এনদিয়ায়ে ব্যবধান কমানোর সুবর্ণ সুযোগ পেয়ে যান ব্রাজিলের রক্ষণ ও গোলরক্ষক এদেরসনের ভুলে। তাঁর শট লাগে পোস্টের বাইরে। দুইবারের আফ্রিকার বর্ষসেরা সাদিও মানে খুব বেশি প্রভাব ফেলতে পারেননি। ৭৫ মিনিটে তাকে তুলে নেওয়া হয়। দক্ষিণ আমেরিকার বাছাইয়ে পঞ্চম হয়ে আগামী বছরের কানাডা-মেক্সিকো-যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বকাপে জায়গা করে নিয়েছে ব্রাজিল। অন্যদিকে, ২০২১ সালের আফ্রিকা কাপ চ্যাম্পিয়ন সেনেগাল গত মাসে মৌরিতানিয়াকে হারিয়ে নিশ্চিত করেছে বিশ^কাপের টিকিট।

