ঢাকা বুধবার, ১৯ নভেম্বর, ২০২৫

জাতীয় স্টেডিয়ামে ফুটবল উৎসবে মধ্যমণি হামজাই

মাঠে ময়দানে প্রতিবেদক
প্রকাশিত: নভেম্বর ১৯, ২০২৫, ০২:৩৫ এএম

এশিয়ান কাপের বাছাইপর্বে গতকাল জাতীয় স্টেডিয়ামে ভারতের মুখোমুখি হয় বাংলাদেশ। এই ম্যাচ ঘিরে জাতীয় স্টেডিয়ামে ফুটবল উৎসবে মেতে ওঠে বাংলাদেশের সমর্থকেরা। আর সবার মধ্যমণি হয়েছেন দেওয়ান হামজা চৌধুরী। নেপালের বিপক্ষে বাইসাইকেল শটে চোখধাঁধানো এক গোল উপহার দেওয়ার পর তার দিকেই সবার নজর ছিল। হামজার ফুটবল ক্যারিশমা দেখার জন্য মাঠে ছুটে আসেন দর্শক। বাংলাদেশ ও ভারত ম্যাচ ঘিরে জাতীয় স্টেডিয়াম পরিণত হয় এক উৎসবের মঞ্চে। দুই দলের ম্যাচ রাত ৮টায় শুরু হলেও দুপুর থেকেই স্টেডিয়ামে দর্শকের ঢল নামে। সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে জাতীয় স্টেডিয়াম এলাকা ফুটবলপ্রেমীদের পদচারণে মুখর হয়ে ওঠে। এই ফুটবল উৎসবের অংশ হয়েছে ভারতও। জাতীয় পতাকা ও লাল জার্সি গায়ে ভারতের ফুটবল সমর্থকেরা খেলোয়াড়দের উৎসাহ দেন। বাংলাদেশে বিভিন্ন পেশায় থাকা ভারতের নাগরিকেরা নিজ দেশকে সমর্থন জানাতে স্টেডিয়ামে ছুটে আসেন।

অন্যদিকে, স্টেডিয়ামের গুলিস্তানগামী গেটে দেখা যায় বাংলাদেশ দলের জার্সি গায়ে হাজারো সমর্থক জড়ো হন। মৌসুমি ব্যবসায়ীরা বাংলাদেশের পতাকা, ব্যানার, প্ল্যাকার্ডসহ ক্রীড়াসংশ্লিষ্ট সামগ্রী নিয়ে দোকান সাজায়। একই চিত্র দেখা যায় বাইতুল মোকাররমমুখী গেটে। ফুটবল ম্যাচ দর্শকের মাঝে আন্দোৎসবের এক উপলক্ষ এনে দিয়েছে। দর্শকের মধ্যে উল্লাস-উচ্ছ্বাস দেখা যায় স্টেডিয়ামের ভেতরেও। চার-পাঁচ ঘণ্টা আগে থেকেই জাতীয় স্টেডিয়ামের গ্যালারি দর্শকে পূর্ণ হতে থাকে। বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচের টিকিট এবারও অনলাইন প্ল্যাটফর্মে বিক্রি করেছে ফুটবল ফেডারেশন। টিকিট ছাড়ার ছয় মিনিটের মধ্যেই বিক্রি শেষ হয়ে যায় বলে জানায় বাফুফে।

ফুটবল ঘিরে দর্শকের আগ্রহ যে অনেক গুণে বেড়েছে, সেটি স্টেডিয়ামে তাদের উপস্থিতিই বলে দেয়। ২২ বছর পর ভারতকে হারানোর সাক্ষী হতে ফুটবলের হোম গ্রাউন্ডে হাজির হন দর্শক। জয় আশা করেন। এর আগে সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে ‘হাই-ভোল্টেজ’ ম্যাচে বাংলাদেশ ভালো খেলেছিল, কিন্তু জিততে পারেনি। এবার জয় দেখতেই মাঠে ছুটে আসেন দর্শক। গত জুনে সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে বাংলাদেশ ম্যাচ ঘিরে যে উত্তাপ ও উত্তেজনা তৈরি হয়েছিল দর্শকদের মাঝে, তা ভারত ম্যাচেও দেখা গেছে।

গত ম্যাচে দর্শকদের সামাল দেওয়া যায়নি। স্টেডিয়ামের গেট ভেঙে দর্শক প্রবেশ করেছেন। তাই এবার বাড়তি সতর্ক বাফুফে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীও স্টেডিয়ামের ভেতরে ও বাইরে দায়িত্ব পালনে কঠোর অবস্থান নেয়। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীও নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিল। সব মিলিয়ে ম্যাচ আয়োজনের ক্ষেত্রে কোনো ধরনের ত্রুটি রাখেনি স্বাগতিক বাংলাদেশ।