এশিয়ান কাপ বাছাই পর্বের ম্যাচে বাংলাদেশের পরবর্তী ম্যাচ সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে। এ ম্যাচটি হবে আগামী বছরের মার্চে। সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে ম্যাচে খেলতে পারবেন না তপু বর্মণ ও রাকিব হোসেন। কেননা ভারতের বিপক্ষে ম্যাচে দুজনই হলুদ কার্ড দেখেছেন। এর আগেও তাদের নামের পাশে হলুদ ছিল। ফলে সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে ম্যাচ নিষিদ্ধ থাকছেন বাংলাদেশের এই দুই ফুটবলার। এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বের টুর্নামেন্টে বাংলাদেশ ‘সি’ গ্রুপে খেলছে। এই গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন হয়ে এরই মধ্যে এশিয়া কাপ খেলা নিশ্চিত হয়েছে সিঙ্গাপুরের। গত মঙ্গলবার ২-১ গোলে হংকংকে হারিয়ে ‘সি’ গ্রুপে তাদের শীর্ষস্থান নিশ্চিত হয়েছে। পাঁচ ম্যাচ শেষে ১১ পয়েন্ট নিয়ে সিঙ্গাপুর গ্রুপে সবার ওপরে। হংকংয়ের পয়েন্ট আট। হংকং শেষ ম্যাচে ভারতকে আর বাংলাদেশ সিঙ্গাপুরকে হারালে হংকং ও সিঙ্গাপুর দুই দলের সমান ১১ পয়েন্ট হবে। হংকংয়ের সঙ্গে হেড টু হেডে সিঙ্গাপুর এগিয়ে। দুই দলের প্রথম ম্যাচ ড্র হয়েছিল, সর্বশেষ ম্যাচে জিতেছে সিঙ্গাপুর। হংকংকে হারিয়েই সিঙ্গাপুরের এশিয়া কাপ নিশ্চিত করেছে। বাংলাদেশ সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে হোম ম্যাচে ১-২ গোলে হেরেছিল। শেষ ম্যাচে সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে জিতলে ৮ পয়েন্ট নিয়ে হামজা-জামালরা এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের মিশন শেষ করতে পারবে। তখন তিন পয়েন্ট দূরে থাকায় এশিয়া কাপ মিস হওয়ার আফসোস থাকবে বাংলাদেশের।
আগামী বছরের ৩১ মার্চ সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে দুই হলুদ কার্ডের কারণে বাংলাদেশ পাচ্ছে না ফরোয়ার্ড রাকিব হোসেন ও ডিফেন্ডার তপু বর্মণকে। এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বে দুটি হলুদ কার্ড হওয়ার পরের ম্যাচে খেলার অযোগ্য হন। যে কারণে ফাহমিদুল ভারত ম্যাচে খেলতে পারেননি। এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে বাংলাদেশ পাঁচ ম্যাচে ১১ হলুদ কার্ড দেখেছে। ২৫ মার্চ এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে প্রথম ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে হৃদয় ও মজিবুর রহমান জনি কার্ড দেখেছিলেন। ১০ জুন সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে হোম ম্যাচে সর্বাধিক চারটি কার্ড দেখে বাংলাদেশ। দুই ডিফেন্ডার শাকিল আহাদ তপু ও তপু বর্মণের পাশাপাশি দুই ফরোয়ার্ড ফাহিম ও ফাহমিদুল কার্ড দেখেন। ৯ অক্টোবর ঢাকায় হোম ম্যাচে রাকিব হোসেন, ১৪ অক্টোবর অ্যাওয়ে ম্যাচে ফাহমিদুল ও তারিক কাজী কার্ড দেখেছেন। শেষ হোম ম্যাচে আরেক দফা কার্ড দেখেন রাকিব ও তপু।
