ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১১ ডিসেম্বর, ২০২৫

বাফুফের সঙ্গে বিএসআরএমের চুক্তি

বাংলাদেশকে বিশ্বকাপে দেখার আশা

মাঠে ময়দানে প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১১, ২০২৫, ০৬:৪৯ এএম

বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সঙ্গে দেশের শীর্ষ নির্মাণ প্রতিষ্ঠান বিএসআরএম ডেভেলপমেন্ট পার্টনার হিসেবে ১০ বছরের জন্য যুক্ত হয়েছে। গতকাল দুই পক্ষের মধ্যে বাফুফে ভবনে আনুষ্ঠানিক চুক্তি হয়েছে। বাফুফে সভাপতি তাবিথ আউয়াল চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে বলেন, ‘এটা আমাদের জন্য খুবই খুশির সংবাদ। ১০ বছর আমরা বিএসআরএমকে ফুটবলের পার্টনার হিসেবে পেয়েছি। বাফুফেতে কখনো এত দীর্ঘমেয়াদি কোনো পার্টনার আগে ছিল না। বিএসআরএম স্থায়িত্ব, নিরাপত্তা ও শক্তিশালীকরণ নীতিতে বিশ^াসী। বাফুফের সঙ্গে তাদের এই বৈশিষ্ট্য দারুণভাবে মেলে।’ বিএসআরএমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আমিরু হুসেন ফুটবলের সঙ্গে সম্পৃক্ত হওয়ার কারণ এবং তাদের লক্ষ্য সম্পর্কে বলেন, ‘ফুটবল নাম্বার ওয়ান খেলা বিশ্বব্যাপী। আমরা নির্মাণ খাতে নাম্বার ওয়ান, চাই ফুটবলও দেশে নাম্বার ওয়ান থাকুক।

নারী ও পুরুষ উভয় দলই এখন ভালো পারফরম্যান্স করছে। আমরা চাই ফুটবল বিকেন্দ্রীকরণ। আমরা ফুটবল উন্নয়নের অংশীদার।’ তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের মেয়েরা ভালো করছে, সম্প্রতি ছেলেরাও উন্নতি করছে। আমরা বাংলাদেশকে বিশ্বকাপে দেখতে চাই। আমাদের খেলাগুলো ঢাকাকেন্দ্রিক। আমরা চাই সারা দেশে ফুটবল আরও গোছালোভাবে হোক, বিকেন্দ্রীকরণ হোক, সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ুক। তাহলে সারা দেশ থেকে অনেক ফুটবলার উঠে আসবে।’ বাফুফে নির্বাহী কমিটি চার বছর মেয়াদের। ইতোমধ্যে এক বছর পার হয়েছে। এই কমিটি আর তিন বছর থাকলেও বাফুফে সভাপতি আশাবাদী দুই পক্ষের চুক্তি চলমান থাকবে, ‘আমরা হয়তো কয়েক বছর পর অনেকেই এখানে থাকব না। কিন্তু ফুটবল, ফেডারেশন ও বিএসআরএম থাকবে।’ ১০ বছরের পার্টনারশিপ অনুষ্ঠানে বাফুফে নির্বাহী কমিটির মধ্যে সভাপতি ও এক সহসভাপতি ছাড়া কেউ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন না।

চুক্তি স্বাক্ষরের পর সহসভাপতি ও মার্কেটিং কমিটির চেয়ারম্যান ফাহাদ করিম মিডিয়ার প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন। সভাপতি তাবিথ আউয়ালের সঙ্গে পৃষ্ঠপোষক প্রতিষ্ঠানও সম্মেলনকক্ষ ত্যাগ করে। মিডিয়া পৃষ্ঠপোষক প্রতিষ্ঠানের কাছে কোনো প্রশ্ন বা জানার সুযোগ পায়নি। বাফুফের সহসভাপতি ফাহাদ করিম বিএসআরএমের সঙ্গে চুক্তি নিয়ে বলেন, ‘আমাদের সঙ্গে তাদের ১০ বছরের চুক্তি। পাঁচ বছর পর এটি পর্যালোচনা হবে। প্রথম পাঁচ বছর তারা একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ বাফুফেকে প্রদান করবে।’ পুরুষ জাতীয় দলে ইউসিবি, নারী দলে ঢাকা ব্যাংক, ইয়ুথ পর্যায়ে রেডিয়্যান্ট ফার্মাসিটিক্যাল, লিগে ইউনাইটেড হেলথ কেয়ার পৃষ্ঠপোষকতা করছে।

বিএসআরএম ফুটবলের সুনির্দিষ্ট কোথায় সহায়তা করবেÑ এই প্রশ্নের উত্তরে ফাহাদ বলেন, ‘আমরা তাদের আগামী বছরের বাফুফের কর্মকা-ের তালিকা দিয়েছি। সেখান থেকে তারা পছন্দ করবে কোনটা কোনটার সঙ্গে থাকবে আবার আমাদের একটাও প্রাধান্য থাকবে। আগামী সপ্তাহে আলোচনা করে আগামী বছরের বিষয়টি ঠিক হবে।’ বাফুফের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজের ব্যাকগ্রাউন্ড দিন তিনেক আগে হলুদ হয়েছিল। ডেভেলপমেন্ট পার্টনার বিএসআরএমের অনুরোধেই এটা করেছে ফেডারেশন। বাফুফের বিভিন্ন টুর্নামেন্ট/প্রতিযোগিতায় বিভিন্ন স্পনসরের লোগো থাকে বিএসআরএমের ব্র্যান্ডিং নিয়ে ফাহাদ বলেন, ‘তারা আমাদের ডেভেলপমেন্ট পার্টনার। ফেডারেশনের বোর্ডে বা আনুষ্ঠানিক অনুষ্ঠানে তাদের লোগো থাকবে। স্পেসিফিক কিছু বিষয়ে অন্যদের সঙ্গে তাদের লোগোও থাকবে। এখানে তাদের শর্ত স্টিল বা নির্মাণসংক্রান্ত অন্য কোনো প্রতিষ্ঠান ব্যবহার করা যাবে না।

আমরা এটা অনুসরণ করি যেমনÑ আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে অন্য কোনো আর্থিক প্রতিষ্ঠান যুক্ত করি না।’ ফুটবল মূলত ক্লাবনির্ভর খেলা। সারা বছর ক্লাবে থাকেন ফুটবলাররা। ক্লাবগুলো আর্থিক সংকটে ভুগছে। তবে ডেভেলপমেন্ট পার্টনার থেকে ক্লাবগুলোর জন্য কোনো সুখবর নেই, ‘ক্লাব এবং একাডেমিগুলো বাফুফের অধীভুক্ত কিন্তু তাদের আলাদা মালিকানা ও ব্যবস্থাপনা। বিএসআরএম আমাদের আয়োজন ও আমাদের সহায়তা করবে। আমাদের অধীভুক্ত অন্য কিছুতে নয়।’