টাঙ্গাইলের ধনবাড়ীতে জমিসংক্রান্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে দুটি ঘর ভাঙচুর এবং স্বর্ণালংকার, শুঁটকি মাছ ও নগদ টাকা লুটের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় গত সোমবার রাতে ১১ জনকে আসামি করে ধনবাড়ী থানায় মামলা করেছেন ক্ষতিগ্রস্ত কুরবান আলী।
মামলার এজাহার ও ভুক্তভোগী কুরবান আলীর বরাতে জানা যায়, প্রতিবেশী মৃত তমেজ আলীর ছেলে ও স্থানীয় ওয়ার্ড বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শফিকুল ইসলাম, তার ছেলে মিজানুর রহমান ও আমিনুর রহমান, ওমেদ আলী ও তার ছেলে রাসেল মিয়া গং ভাড়াটে সন্ত্রাসী নিয়ে তাদের বাড়িতে হামলা চালায়। এ সময় দুটি ঘর ভাঙচুর করে বাড়ির টিন, মাটি ও কাঠের খুঁটি খুলে ফেলা হয়।
ঘরে থাকা একটি ভ্রাম্যমাণ দোকানের প্রায় ৫০ হাজার টাকার শুঁটকি মাছ, ৬০ হাজার টাকার স্বর্ণালংকার ও নগদ ৫০ হাজার টাকা এবং পাশের ঘর থেকে আনুমানিক ২ লাখ ৩০ হাজার টাকার স্বর্ণালংকার লুট করে নিয়ে যায় হামলাকারীরা। বাধা দিতে গেলে লাঠি ও কাঠ দিয়ে ভয় দেখিয়ে প্রাণনাশের হুমকি দেয় বলেও অভিযোগ করেছেন কুরবান আলী।
তিনি আরও বলেন, ‘এই বর্ষার দিনে পরিবার-পরিজন নিয়ে খোলা আকাশের নিচে থাকতে হচ্ছে। আমরা এখন সম্পূর্ণ নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।’
এলাকাবাসী ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা ঘটনার নিন্দা জানিয়ে বলেন, দিনে-দুপুরে এভাবে গরিব দিনমজুর পরিবারের ওপর সন্ত্রাসী হামলা মেনে নেওয়া যায় না। হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় ইউপি সদস্য মনিফা ও একাধিক এলাকাবাসী।
এদিকে অভিযুক্তদের অবস্থান জানতে তাদের বাড়িতে গেলে কাউকে পাওয়া যায়নি। বাড়িটি তালাবদ্ধ ছিল এবং মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া গেছে।
বীরতারা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আমির হোসেন তারা বলেন, ‘বিষয়টি শুনেছি। এটা দুঃখজনক। ঘরবাড়ি ভাঙচুর কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। যারা দোষী, তাদের বিচার হওয়া উচিত।’
এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ধনবাড়ী থানার ওসি এস এম শহিদুল্লাহ বলেন, শুঁটকি মাছ ব্যবসায়ীদের বাড়ি ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনায় কুরবান আলী বাদী হয়ে সোমবার রাতে ১১ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন। দ্রুত আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
আপনার মতামত লিখুন :