ঠাকুরগাঁও: ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুর উপজেলা হিসাব রক্ষণ অফিসে ভুক্তভোগীদের প্রকাশ ঘুষ লেনদেন ও হয়রানির অভিযোগ উঠেছে।
অভিযোগ রয়েছে, প্রকাশ্য চুক্তি না করা পর্যন্ত কোন কাজেই হাত দেয়না হরিপুর উপজেলা হিসাব রক্ষন অফিস। অবসরজনিত ফাইল, টিএ, ডিএ, বিল বিভিন্ন দপ্তরের কন্টিনজেনসি বিল সব কিছুতেইমোটা অংকের টাকা না দিলে ফাইল চলা শুরু করে না বলে অভিযোগ করেছেন ২৭ জন ভুক্তভোগী। এমনই একজন ভুক্তভোগী আমবাড়ী গ্রামের মো,জয়নাল আবেদিনের স্ত্রী মোছা,জোহরা খাতুন উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা অফিসের কর্মচারী গত বছরের ১১ জুলাই অবসরে যান। তারিখে অবসরে যান। তার ব্যাংক একাউন্ট নং ১৯০৯১০০০০৪৯৪০। তিনি দীর্ঘদিন অফিসে ঘুরে অবসরের টাকা তুলতে না পেরে অডিটর মো,মজিবর রহমানের স্মরনাপন্ন হলে তিনি অফিসারের সাথে কথা বলে দেড় লক্ষ টাকা দাবি করেন। তিনি নিরুপায় হয়ে কিছু টাকা দিতে রাজি তার ফাইল চলাচল শুরু করে।তার ছেলের অবসর জনিত ফাইলেও একলক্ষ টাকা ঘুষ ওনয় ওই কর্মকর্তা।
তার ছেলে জহিরুল ইসলাম জানান, আমার মায়ের অবসর জনিত ফাইলে কাজ করে দিবে মর্মে সোনালি ব্যাংক শাখা হরিপুর একলক্ষ টাকা চেক গ্রহণ করে, তারিখ ১৪ আগস্ট তারিখে যাহার পাতা নং ২০০৯৪০৪৬৫ ও একাউন্ট নং ১৯০৯১০০০০৪৯৪০ এবং পরেও কুড়ি হাজার টাকা দেই। তারপরও আমি উক্ত কর্মকর্তার নিকট অপমানিত হই, চেক প্রদান ও টাকা প্রদানের সময়ের ভয়েস কল রেকর্ড আছে। ইতোপূর্বে আমার ভাইয়ের অবসর জনিত ফাইলেও নগদ একলক্ষ টাকা প্রদান করি। হরিপুর সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক কর্মচারীদের নিকট থেকে সদ্য ১,৭০,০০০ টাকার ঘুষের বিনিময়ে কাজ করেন।
এমনটাই ২২ আগস্ট তারিখে ২৭জন ভুক্তভোগীঅভিযোগ করেছেন, বিভাগীয় হিসাব নিয়ন্ত্রক বরাবরে, মাধ্যম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হরিপুর ঠাকুরগাঁও ।
এহেন অবস্থায় হিসাব রক্ষন কর্মকর্তা শেরিকুজ্জামান ও অডিটর মো, মজিবর রহমান সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য গত বৃহস্পতিবার ২৭জন ভুক্তভোগী লিখিত অভিযোগ করেন।
উল্লেখ্য, হরিপুর উপজেলা হিসাবরক্ষণ অফিসে ইতোপূর্বে নব্য কলেজ আত্তীকৃত শিক্ষক কর্মচারীগণের নিকট থেকে মোটা অংকের ঘুষ লেনদেনের মাধ্যমে ফাইল পাশ করে।
এব্যপারে অভিযুক্ত কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলতে চাইলে তিনি মোবাইল ফোন রিসিভ করেন নি।
আপনার মতামত লিখুন :