রবিবার, ০৪ মে, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


উল্লাপাড়া (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৯, ২০২৪, ০৭:৪৫ পিএম

করতোয়া নদীপাড়ে শুভ্রতা ছড়াচ্ছে কাশফুল

উল্লাপাড়া (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৯, ২০২৪, ০৭:৪৫ পিএম

করতোয়া নদীপাড়ে শুভ্রতা ছড়াচ্ছে কাশফুল

ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

ঋতু বৈচিত্রের এই দেশে ঋতুর বৈচিত্র্য অনুভব করতে গ্রামবাংলার প্রকৃতির কোন বিকল্প নেই। যদিও দিন দিন সেই বৈচিত্র্য কমে যাচ্ছে। শীত এবং বর্ষাকাল স্পষ্টভাবে বোঝা গেলেও অন্যান্য ঋতুর বৈচিত্র্য খুব একটা দেখা যায় না। তবে নদ-নদী, চর এলাকায় কাশফুল ফুটলেই বোঝা যায় শরৎ এসেছে। সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া চরসাতবাড়িয়া করতোয়া নদীপাড়ে শুভ্রতা ছড়াচ্ছে কাশফুল। মেলে ধরেছে আপন রূপ। প্রকৃতিপ্রেমীদের ডাকছে কাছে। নদীপাড়ের সেই কাশফুল দুই চোখ ভরে দেখে নিচ্ছে প্রকৃতিপ্রেমী মানুষ।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উল্লাপাড়ার চরসাতবাড়ীয়া করতোয়া নদীপাড়ে শরতের শুভ্র কাশফুলে সেজেছে প্রকৃতি। বৈচিত্রময় এই কাশফুল দেখতে প্রতিদিন
সকাল-বিকাল বিভিন্ন এলাকা থেকে দলবেঁধে লোকজন এখানে বেড়াতে আসছেন। বিশেষ করে বিকেল বেলায় লোকসমাগম একটু বেশি হয়। হেলিপ্যাড বা চর
সাতবাড়ীয়া জিরো পয়েন্ট থেকে নৌকাযোগে যেতে হয় কাশ বাগানে। এই স্থানটি পর্যটক স্পট না হওয়া সত্বেও কাশফুলের ছোঁয়ায় ভ্রমণ প্রেমীদের আগমনে মূখর হয়ে উটেছে প্রতিটি বিকেল। আর এই সৌন্দর্যের সাথে ছবি তুলে ছড়িয়ে দিচ্ছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে। হেলিপ্যাডে গিয়ে ডিঙ্গি নৌকায় উঠে কথা হয় নৌকার মাঝি আল আমিন হোসেনের সঙ্গে। তিনি জানান, প্রতিবছরই এই নদী চরে কাশফুল ফোটে। আর এই শরতে কাশফুল দেখতে বিভিন্ন এলাকা থেকে দলবেঁধে ছুটে আসেন এখানে। তবে কাশফুলে যেতে নৌকায় পাড় হতে হয়। ফলে তারা জনপ্রতি ১০ টাকা করে ভাড়া নেন।

এখানে পরিবার নিয়ে ঘুরতে আসা ঝিকিড়া মহল্লার মেহজাবিন ও মেঘলার সাথে কথা বললে তারা জানান, শহরের কোলাহল থেকে নিরিবিলি বিকালে কিছুটা সময়
কাটাতে এই কাশফুল দেখতে এসেছেন। বিশেষ করে শিশুরা সন্তানের এখানে এসে খুব আনন্দ পায়। শহরের কোলাহলের মাঝে এখানকার কাশফুল কিছুটা হলেও আমাদের নির্মল আনন্দ দেয়।

উল্লাপাড়া সানফ্লাওয়ার স্কুল ছাত্র আব্দুল্লাহ আল নোমান জানায়, পড়াশোনা আর ক্লাশের ফাঁকে বন্ধুদের সঙ্গে এই কাশফুল দেখতে এসেছি। খুব ভালো লেগেছে
এখানে। তবে দীর্ঘসময় এই কাশফুলগুলো থাকলে অনেক ভালো লাগতো। কথা হয় সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব মো. আব্দুস সালামের সঙ্গে। তিনি জানান, গ্রাম বাংলার প্রকৃতি পাল্টে যাচ্ছে দিন দিন। উজার হচ্ছে গাছপালা। ভাঙ্গনের ফলে এই নদী পাড়ের মাটি বিলীন হয়ে যাচ্ছে নদীগর্ভে। এতে করে নদীপাড়ের ভারসাম্য হারাচ্ছে। তারপরও চরসাতবাড়ীয়া করতোয়া নদীপাড়ে প্রতিবছরই কাশফুল ফোটে। এবছরও চর জুড়ে ফুটেছে শুভ্র নরম কাশফুল। শহরের কোলাহল ছেড়ে নিজেও পরিবার নিয়ে এই কাশফুল দেখতে এসেছি। সর্বপুরি মনের মধ্যে শুভ্রতার রেশ নিয়ে প্রকৃতিপ্রেমীরা ঘরে ফিরছেন।

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!