ঢাকা শুক্রবার, ০২ মে, ২০২৫

বানিয়ারচর-মহিষমারী খাল খননে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ

রাজৈর (মাদারীপুর) প্রতিনিধি
প্রকাশিত: নভেম্বর ৮, ২০২৪, ০৫:৩৩ পিএম
ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

গোপালগঞ্জ জেলার মুকসুদপুর উপজেলার বানিয়াচর হতে পার্শ্ববর্তী  মাদারীপুর জেলার রাজৈর উপজেলার ফুল বাড়ি, ভোলাইরচক হয়ে লক্ষ্মীপুর পর্যন্ত বানিয়ারচর খাল খনন প্রকল্পে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে খুলনার ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান আমিন এন্ড কোম্পানির বিরুদ্ধে। ঢাকা  পানি উন্নয়ন বোর্ড  অফিস থেকে সাত কোটি টাকার উপরে ব্যয়ে প্রায় আট কিলোমিটার খাল খননের প্রজেক্ট পাস হয়।

স্থানীয়রা জানায়, বানিয়ারচর-খাল খনন প্রকল্পের সরজমিনে ২০ থেকে ২৫ ফুট চওড়া খাল, সরকারি জায়গা থাকা সত্ত্বেও সাড়ে আট কিলোমিটার দীর্ঘ, খালের দুই পাড়ের স্থানীয়দের আরও ৪০/৫০ ফিট বাড়িয়ে ৬০ ফিট খাল খননের অভিযোগ উঠে।

খাল খনন প্রকল্পের অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে ভূক্তভোগীরা মাদারীপুর জেলা প্রশাসক, মাদারীপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার ও রাজৈর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় অভিযোগ পত্র দাখিল করেছে এদিকে মাটি কাটা ভেকু মেশিন দিয়ে নির্বিচারে খাল খননের কাজ চালিয়ে দরিদ্র কৃষক শ্রেণির পরিবারের ভিটাবাড়ি কেটে খালে পতিত করছে খননকারীরা। অন্যায় ভাবে উচ্ছেদ করছে অনেক পরিবারের বসতঘর, নির্বিচারে  নিধন করছে হাজার হাজার গাছ পালাসহ কয়েকটি সনাতন ধর্মের প্রতিষ্ঠান। এছারাও উপড়ে ফেলা হয়েছে  সুপেয়  পানির কয়েকটি গভীর নলকূপ। এতে স্থানীয়দের ক্ষয়ক্ষতিতে যেন মরার উপরে খাড়ার ঘাঁ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

ভূক্তভোগী প্রিতিশ বিশ্বাস জানান, খাল খনন সম্পর্কে এলাকাবাসী কিছুই জানে না, খাল খননের ব্যাপারে কোন জড়িপও  হয়নি, খালের কোন পরিমাপ করা হয়নি। এই  খাল খনন প্রকল্পের ডিজাইনসহ সমস্ত কাজ পানি উন্নয়ন বোর্ডের হেড অফিসে বসেই করা হয়েছে। সরেজমিনে এসে খাল খনন প্রকল্পের কাউকে কিছুই বলেনি ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান।

ক্ষতিগ্রস্ত ভূক্তভোগী পরিবারগুলো পানি উন্নয়ন বোর্ড ও  সরকারের কাছে ক্ষতিপূরণ দাবি করে এবং খালের নামে নির্ধারিত জায়গা ব্যাতিরেকে জনগণের জায়গার উপর দিয়ে খাল খননের কাজ বন্ধ করার দাবি জানান।

মাদারীপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সানাউল কাদের খান জানান, বানিয়ারচর খাল খনন প্রকল্প সম্পর্কে আমি এবং আমাদের অফিস কিছুই জানি না। 

গোপালগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রিফাত জামিল মুঠোফোন জানান, গত তিন বছর পূর্বে পানি উন্নয়ন বোর্ড এর হেড অফিস এই  প্রকল্পে সমস্ত কাজ ওখানেই  করেছে। এই  প্রকল্প সম্পর্কে মাদারীপুর জেলার পানি উন্নয়ন বোর্ড এবং মাদারীপুর জেলার রাজৈর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অবগত করা হয়েছিল কিনা জানতে চাইলে তিনি সঠিক কোন উত্তর দিতে পারেনি।