নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলার তেলুজিয়া গ্রামের বিরিশিরি রিসোর্টে তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগে ছাত্রদল নেতা ফয়সাল আহাম্মদ দুর্জয় কারাগারে রয়েছেন।
এ ঘটনায় ছেলে দুর্জয়কে নির্দোষ দাবি করে বৃহস্পতিবার (১ মে) সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে সংবাদ সম্মেলন করেছেন তার মা খাদিজা আক্তার।
তিনি দাবি করেন, দুর্জয়কে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে মামলায় ফাঁসানো হয়েছে।
দুর্জয় দুর্গাপুর উপজেলা ছাত্রদলের বহিষ্কৃত যুগ্ম আহ্বায়ক এবং চণ্ডীগড় গ্রামের মজিবুর রহমান ও খাদিজা আক্তার দম্পতির ছেলে।
দুর্গাপুর প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে ফয়সালের মা খাদিজা আক্তার লিখিত বক্তব্যে বলেন, ‘আমার ছেলে একজন সহজ-সরল ও ভদ্র স্বভাবের মানুষ। সে দীর্ঘদিন ধরে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত থেকে সুনামের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে আসছে। কিছু ব্যক্তি তার সুনাম ক্ষুণ্ন করতে পরিকল্পিতভাবে এই নাটক সাজিয়েছে।’
তিনি অভিযোগ করেন, ‘যে তরুণী মামলা করেছেন, তিনি পেশাদার কলগার্ল। তার অসামাজিক কর্মকাণ্ডের ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে, যা সবাই অবগত আছেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘মুন্না মিয়া নামের ছাত্রলীগ নেতা প্রকৃত আসামি হলেও তাকে বাঁচাতে ওসি মাহমুদুল হাসান উৎকোচ গ্রহণ করে ফয়সালকে মামলায় ফাঁসিয়েছেন।’
সংবাদ সম্মেলনে তিনি মামলাটি প্রত্যাহার করে তার ছেলেকে মুক্তি দেওয়ার দাবি জানান।
এ বিষয়ে দুর্গাপুর থানার ওসি মাহমুদুল হাসান বলেন, ‘এটি প্রকাশ্য দিবালোকে সংঘটিত ঘটনা। অভিযুক্ত ও ভুক্তভোগী কাউকেই আমি পূর্বে চিনতাম না। পুলিশ শুধু আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিয়েছে। উৎকোচ গ্রহণের অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।’
উল্লেখ্য, ২৯ এপ্রিল বিকেলে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে তরুণীসহ ফয়সাল, জেলা ছাত্রলীগ নেতা আবিদ হাসান মুন্না মিয়া এবং রিসোর্ট ম্যানেজার পিষুষ দেবনাথকে থানায় নিয়ে আসে।
রাতেই তরুণী থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের কহয়। পরদিন ৩০ এপ্রিল আদালতের মাধ্যমে ফয়সালকে কারাগারে পাঠানো হয়।
মামলার পরিপ্রেক্ষিতে জেলা ছাত্রদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সারোয়ার আলম এলিন ও সাধারণ সম্পাদক অনিক মাহাবুব চৌধুরীর স্বাক্ষরে ফয়সালকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়।