বৃহস্পতিবার, ০১ মে, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি

প্রকাশিত: মার্চ ৩১, ২০২৫, ১২:৫৫ পিএম

নতুন রেকর্ড গড়ে শোলাকিয়ায় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি

প্রকাশিত: মার্চ ৩১, ২০২৫, ১২:৫৫ পিএম

নতুন রেকর্ড গড়ে শোলাকিয়ায় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত

ছবি: সংগৃহীত

অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে এবার কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দানে নামাজ আদায় করেছেন  প্রায় ৬ লাখের বেশি মুসল্লি।

সোমবার (৩১ মার্চ) সকাল ১০টায় দেশের বৃহৎ এই ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়।

ঈদের জামাতে অংশ নিতে এদিন সকালে দূর-দূরান্ত থেকে মানুষ ঈদগাহে আসে। ময়মনসিংহ ও ভৈরব থেকে দুটি ট্রেন সকালে মুসল্লিদের নিয়ে কিশোরগঞ্জে পৌঁছায়। সকাল ৯টার মধ্যেই ঈদগাহ ময়দান লোকে লোকারণ্য হয়ে পড়ে।

দীর্ঘ ১৫ বছর পর জামাতে ইমামতি করেছেন কিশোরগঞ্জ শহরের বড় বাজার মসজিদের খতিব মুফতি আবুল খায়ের মোহাম্মদ ছাইফুল্লাহ। বিকল্প ইমাম হিসেবে ছিলেন হয়বতনগর এ ইউ কামিল মাদরাসার প্রভাষক মাওলানা জুবায়ের ইবনে আব্দুল হাই।

মুসল্লিদের ভিড়ে কানায় কানায় পূর্ণ ছিল এই ঈদগাহ ময়দান। এ বছর শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দানে ১৯৮তম জামাত অনুষ্ঠিত হলো। খুতবা শেষে বাংলাদেশসহ মুসলিম উম্মাহর মঙ্গল কামনা করে মোনাজাত করা হয়।

শোলাকিয়ায় নামাজ আদায়ে দুই দিন ধরেই গাজীপুর, মুন্সিগঞ্জ, কুমিল্লা, বরিশাল, কুষ্টিয়া, মেহেরপুর, যশোরসহ ৬৪টি জেলা ও বিভিন্ন উপজেলা থেকে কিশোরগঞ্জে লোক আসতে শুরু করেন। অনেকে আত্মীয়স্বজন, বন্ধুবান্ধবের বাসায়, আবাসিক হোটেল, শহরের মসজিদগুলোতে এবং ঈদগাহ মাঠে খোলা আকাশের নিচে আশ্রয় নিয়ে রাত্রীযাপন করেন। ভোররাতে ট্রেন, বাস, ট্রাক, মাইক্রোবাস, রিকশা, মোটরসাইকেল, সাইকেল ও হেঁটে হাজারো মানুষ কিশোরগঞ্জে আসেন। সবার গন্তব্য ঐতিহাসিক শোলাকিয়া। বড় ঈদগাহ, বড় জামাত বেশি মুসল্লির সঙ্গে জামাত আদায় করলে দোয়া কবুল হয়—এমন আকর্ষণে সকাল থেকেই এই ঈদ জামাতে নামাজ আদায়ের জন্য কিশোরগঞ্জ ও আশপাশের জেলাসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে ছুটে আসেন লাখো মুসল্লি।

কিশোরগঞ্জের পুলিশ সুপার হাছান চৌধুরী জানান, এবারের ঈদুল ফিতরের জামাতে প্রায় ৬ লাখেরও বেশি মানুষ উপস্থিত ছিলেন।

ঈদগাহ ময়দান ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ও জেলা প্রশাসক ফৌজিয়া খান বলেন, খুব সুন্দরভাবেই দেশের সবচেয়ে বৃহৎ ঈদগাহ মাঠের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। সকলেই আমাদের সহযোগিতা করছেন। রাস্তাঘাটে মানুষে লোকারণ্য। নিরাপত্তা জোরদার রয়েছে সবাই শান্তিপূর্ণভাবেই বাসায় ফিরতে পারবেন।

রেওয়াজ অনুযায়ী জামাত শুরুর আগে মুসল্লিদের সংকেত দিতে শর্টগানের ছয়টি ফাঁকা গুলি ছোড়া হয়। তিনটি জামাত শুরুর ১৫ মিনিট আগে, দুটি ১০ মিনিট আগে এবং শেষ গুলিটি ছোড়া হয় জামাত শুরুর এক মিনিট আগে। আগত লাখ লাখ মুসল্লির নিরাপত্তার স্বার্থে এখানে টুপি ও জায়নামাজ ছাড়া কিছু সঙ্গে নিয়ে প্রবেশ করা নিষিদ্ধ করা হয়েছিল।

দূরদূরান্ত থেকে আসা ভক্তদের চলাচলের জন্য রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ শোলাকিয়া স্পেশাল নামে দুটি বিশেষ ট্রেনেরও ব্যবস্থা করেছে। একটি ট্রেন ময়মনসিংহ থেকে এবং অন্যটি ভৈরব থেকে ছেড়েছে।

কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থার অংশ হিসেবে প্রার্থনার ক্যাপ, মুখোশ এবং প্রার্থনার ম্যাট ছাড়া অন্য কিছু বহন করা নিষিদ্ধ ছিল। মুসল্লিদের সাহায্য করার জন্য বিপুল সংখ্যক স্বেচ্ছাসেবক এবং কয়েকটি মেডিকেল টিম মাঠে কর্তব্যরত ছিল। মাঠসহ প্রবেশপথে সিসিটিভি ক্যামেরা ও ওয়াচ টাওয়ারও ছিল। আর পুলিশের ড্রোন ক্যামেরা আকাশে উড়েছে।

আরবি/এসবি

Link copied!