ঢাকা সোমবার, ১২ মে, ২০২৫

লঞ্চে দুই তরুণীকে মারধর, ২৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা

মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রকাশিত: মে ১১, ২০২৫, ০৪:০৮ পিএম
লঞ্চঘাটে থামা একটি লঞ্চে দুই তরুণীকে মারধরের চিত্র। ছবি- সংগৃহীত

মুন্সীগঞ্জ লঞ্চঘাটে যাত্রাবিরতির জন্য থামা একটি লঞ্চে দুই তরুণীকে প্রকাশ্যে মারধরের ঘটনায় জিহাদসহ ২৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।   

রোববার (১১ মে) সকালে মুক্তারপুর নৌ-পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মিলন বাদী হয়ে মুন্সীগঞ্জ সদর থানায় মামলাটি করেন। 

এ মামলায় মারধরকারী যুবক নেহাল আহমেদ ওরফে জিহাদের (২৪) নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা ২০-২৫ জনকে আসামি করা হয়েছে।

মামলার এজাহার অনুযায়ী, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ১০ ধারায় মামলাটি হয়েছে। এতে যৌন নিপীড়ন, বেআইনি জনতাবদ্ধ হয়ে অনধিকার প্রবেশ, মারধর করে ভাঙচুর, ক্ষতি ও হুমকির অভিযোগ আনা হয়েছে। মামলায় নেহাল আহমেদকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

এর আগে শনিবার (১০ মে) দুপুরে জিহাদকে আটক করে মুন্সীগঞ্জ সদর থানায় নিয়ে আসে পুলিশ। জিহাদ মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার যোগিনীঘাট এলাকার বাসিন্দা।
 
মুন্সীগঞ্জ সদর থানার ওসি সাইফুল আলম বলেন, শুক্রবার ১৯-২০ বছর বয়সী দুই তরুণীকে মারধরের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। সে ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে শনিবার আমরা জিহাদকে (নেহাল আহমেদ) থানায় আসতে বলি। তিনি থানায় এলে তাকে আটক করি। এ ঘটনায় মামলা করার জন্য ওই তরুণীদের থানায় আসতে বলা হয়, কিন্তু তারা কেউ আসেননি। লঞ্চ কর্তৃপক্ষকেও অভিযোগ দিতে বলা হয়, তারাও আসেনি।

তিনি আরও বলেন, মামলায় একজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ২০–২৫ জনকে আসামি করা হয়েছে। মামলাটি নৌ-পুলিশ তদন্ত করবে। নেহাল আহমেদকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

উল্লেখ্য, ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে দেখা যায়, এমভি ক্যাপ্টেন নামের ওই লঞ্চে দুই তরুণীকে লঞ্চের একেবারে সামনের অংশে উঠিয়ে বেল্ট দিয়ে পেটাচ্ছেন এক তরুণ।

সে সময় স্থানীয় ৫০-৬০ জন লোক সেই দৃশ্য ফোনে ধারণ করে উল্লাস করছিলেন ও বিভিন্ন স্লোগান দিচ্ছিলেন।