ঢাকা শুক্রবার, ১৬ মে, ২০২৫

৭৫০ জনকে পুশইনের চেষ্টা বিএসএফের, রুখে দিল বিজিবি ও জনতা

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
প্রকাশিত: মে ১৬, ২০২৫, ১২:৪৯ পিএম
ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে ভারত বাংলাদেশ সীমান্তে ৭৫০ জনকে পুশইনের চেষ্টাকে কেন্দ্র করে বিজিবি-বিএসএফ উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। এ ঘটনায় সহায়তা চেয়ে ভোর ৩.৩০টার দিকে মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে স্থানীয় এলাকাবাসীকে সীমান্তে জড়ো করে বিজিবি। 

শুক্রবার (১৬ মে) রাত ৩টা থেকে বিজয়নগর উপজেলার সিঙ্গারবিল ইউনিয়নের নোয়াবাদী সীমান্তে এ ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাতভর সীমান্তে উত্তেজনা বিরাজ করে। তবে পরিস্থিতি টের পেয়ে বিএসএফ সরে যাওয়ায় কোনো সমস্যা দেখা দেয়নি।

একাধিক সূত্র জানায়, বিভিন্ন সময়ে ত্রিপুরায় আটক ৬০০ জনের বেশি ও সম্প্রতি রাজস্থানে আটক ১৪৮ জনকে পুশইনের সিদ্ধান্ত নেয় সেখানকার সংশ্লিষ্টরা। আটককৃতদের মধ্যে বেশির ভাগ বাংলাদেশি ও কিছু রোহিঙ্গা রয়েছে।

গতকাল রাত ২টার দিকে বিজয়নগর উপজেলার সিঙ্গারবিল ইউনিয়নের সীমান্ত দিয়ে ওই ৭৫০ জনকে পুশইন করতে জড়ো হয় বিএসএফ। খবর পেয়ে সতর্ক অবস্থান নেয় বিজিবি।

যোগ দেয় স্থানীয় লোকজন। মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে সিঙ্গারবিল, বিষ্ণুপুর, নলঘরিয়া, মেরাসানী, নোয়াবাদী সীমান্তে শত শত লোক দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে জড়ো হয়। অনেকে ফেসবুকে লাইভে এসে লোকজনকে জড়ো হওয়ার আহ্বান জানান। এতে শত শত লোক জড়ো হয়ে পড়লে পিছু হটে বিএসএফ।

ইউনিয়ন পরিষদ মেম্বার বাচ্চু মিয়া শুক্রবার সকালে গণমাধ্যমকে বলেন, ‘এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে। রাত ২টার দিকে বিজিবির মাধ্যমে খবর পেয়ে এলাকার মানুষকে সীমান্তে যেতে বলি। লোকজন জড়ো হলে বিএসএফ সরে যায়।’

বিজয়নগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) সাধনা ত্রিপুরা বলেন, ‘সীমান্তের পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে। পুশইন চেষ্টার খবরে জনগণ বিজিবির সঙ্গে থেকে প্রতিহত করেছে। এখনো সতর্ক অবস্থানে আছেন সবাই।’
 
বিজিবি-২৫ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল জাব্বার আহাম্মেদ গণমাধ্যমকে জানান, ‘বিএসএফ পুশইন করবে বলে খবর আসে। এ অবস্থায় বিজিবি সতর্ক অবস্থান নেয়। পাশাপাশি স্থানীয় জনতা সীমান্তে জড়ো হয়।’