মাত্র ১২০ টাকার আবেদন ফি দিয়ে লালমনিরহাটে ১৭ জন তরুণ-তরুণী চাকরি পেয়েছেন বাংলাদেশ পুলিশের ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল (টিআরসি) পদে।
বৃহস্পতিবার (২২ মে) সন্ধ্যায় লালমনিরহাট পুলিশ লাইন্সে ফলাফল ঘোষণা করেন পুলিশ সুপার তারিকুল ইসলাম। এ সময় স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় নিয়োগের ফলাফল শুনে অনেকেই আবেগাপ্লুত হন।
চূড়ান্ত ফলাফলে নিজের নাম শুনে আবেগে কাঁদতে কাঁদতে মাটিতে সেজদায় পড়ে যান শাহ জালাল। তার বাবা আশরাফুল ইসলাম একজন বর্গাচাষি। অন্যের জমিতে চাষ করে চলেন এই কৃষক। তিনি বিশ্বাসই করতে পারছিলেন না, তার ছেলের চাকরি হয়েছে বিনা ঘুষে, একেবারে স্বচ্ছভাবে।
লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন ১৫ জন পুরুষ ও দুজন নারী। মোট প্রার্থী ছিলেন ৩০ জন পুরুষ ও পাঁচজন নারী।
ফলাফল ঘোষণার সময় নবনিয়োগপ্রাপ্তদের শুভেচ্ছা জানিয়ে পুলিশ সুপার বলেন, ‘যোগ্যতা, সততা ও স্বচ্ছতার ভিত্তিতে নিয়োগ সম্পন্ন হয়েছে। যারা নির্বাচিত হয়েছেন, তারা দেশের সেবা করবেন এই প্রত্যাশা করছি।’
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) শাহাদত হোসেন, নিয়োগ বোর্ডের সদস্য এ কে এম ওহিদুন্নবী, সহকারী পুলিশ সুপার (ডি-সার্কেল) নাহিদ হাসান এবং জেলা পুলিশের অন্যান্য কর্মকর্তারা।
নতুন নিয়োগপ্রাপ্ত সদস্যদের অনেকেই দরিদ্র পরিবার থেকে এসেছেন। কেউ দিনমজুরের ছেলে, কেউ রিকশাচালকের মেয়ে। তাই তাদের এই চাকরি শুধু একটি পেশা নয়, বরং পরিবারের ভাগ্য বদলের সুযোগ। এই দিনটি ছিল তাদের জীবনের সবচেয়ে গর্বের ও স্মরণীয় দিন।
আপনার মতামত লিখুন :