নয় দফা দাবিতে একাডেমিক কার্যক্রম শাটডাউন করে প্রতীকী প্রতিবাদী পথনাটক, বিক্ষোভ মিছিল ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন বরিশাল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের শিক্ষার্থীরা।
রোববার (২৫ মে) সকাল ১০টা থেকে বেলা সাড়ে ১২টা পর্যন্ত কলেজ ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীরা অবস্থান নিয়ে এসব কর্মসূচি পালন করেন।
এ ছাড়াও তারা তাদের দাবির পক্ষে কম্বাইন্ড পরীক্ষা পদ্ধতির কুশপুত্তলিকা দাহ করেছেন।
বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা জানান, পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বন করার কারণে কয়েকদিন আগে ময়মনসিংহ ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের এক শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়। এরপর সে আত্মহত্যা করে। কম্পাউন্ড সিস্টেমে পরীক্ষার কারণে সে চাপ সামাল দিতে না পেরে এমন কাজ করেছে বলে শিক্ষার্থীরা মনে করছেন।
শিক্ষার্থীরা আরও বলেন, ২০১৬ সালের পর থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত প্রযুক্তি ইউনিটের অধীন সব কলেজ ও ইনস্টিটিউটে বিদ্যমান কম্বাইন্ড পরীক্ষা পদ্ধতি সম্পূর্ণ ব্যর্থতার পরিচয় দিয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে গভীর সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে।
‘এ ছাড়া গুণগত শিক্ষা ও মূল্যায়ন নিশ্চিত না হওয়ায় এবং এই কম্বাইন্ড একাডেমিক সিস্টেমের জটিলতার কারণে শিক্ষার্থীরা দীর্ঘদিন ধরে একাডেমিক ও মানসিক ভোগান্তির শিকার হয়ে আসছে। এসব ভোগান্তি নিরসনের লক্ষ্যে বরিশাল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে নয়টি দাবি উত্থাপন করা হয়েছে।’
শিক্ষার্থীরা বলেন, আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে আমাদের দাবির পক্ষে লিখিত সিদ্ধান্ত প্রদান করা না হলে বরিশাল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের শিক্ষার্থীরা পরবর্তী কঠোর কর্মসূচি গ্রহণ করতে বাধ্য হবে।
উল্লেখ্য, লিখিত সিদ্ধান্ত না পাওয়া পর্যন্ত বরিশাল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের সব প্রকার একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম অনির্দিষ্টকালের জন্য সম্পূর্ণরূপে বন্ধ (শাটডাউন) ঘোষণা করেছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।
আপনার মতামত লিখুন :