ফরিদপুরের সালথা উপজেলার কুমারপুটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শ্রেণিকক্ষ সংকটে ব্যাহত হচ্ছে স্বাভাবিক পাঠদান কার্যক্রম। বিদ্যালয়ের পুরাতন একটি ভবন ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করে বন্ধ করে দেওয়ায় শিক্ষকরা বাধ্য হয়ে বারান্দায় ক্লাস নিচ্ছেন। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছে ২০৬ জন শিক্ষার্থী।
মঙ্গলবার (৮ জুলাই) সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বিদ্যালয়ে মোট দুটি ভবন রয়েছে। এর মধ্যে পুরাতন ভবনের ছাদের পলেস্তারা খসে পড়ায় সেটিকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করে ব্যবহার অনুপযোগী ঘোষণা করা হয়েছে। ফলে বর্তমানে পাঠদান চলছে নতুন ভবনের মাত্র দুটি কক্ষে। এর একটি কক্ষ ব্যবহৃত হচ্ছে অফিস রুম হিসেবে। ফলে শিশু শ্রেণি থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত ছয়টি শ্রেণির পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আমানুর রশীদ বলেন, ‘বর্তমানে বিদ্যালয়ে ২০৬ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। অথচ কেবল দুটি কক্ষে ক্লাস নেওয়া সম্ভব হচ্ছে। তাই বাধ্য হয়েই শিক্ষকরা বারান্দায় পাঠদান চালিয়ে যাচ্ছেন। আমরা উপজেলা শিক্ষা অফিসে নতুন ভবনের জন্য আবেদন ও রেজুলেশন জমা দিয়েছি। দ্রুত বরাদ্দ পেলে সমস্যা নিরসন হবে।’
উপজেলার শিক্ষক নেতারা বলছেন, শ্রেণিকক্ষ সংকট একটি মৌলিক সমস্যা। মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করতে পর্যাপ্ত অবকাঠামো থাকা জরুরি। বারান্দায় পাঠদানের ফলে শিশুদের মনোযোগ কমে যায় এবং শারীরিকভাবেও তারা অস্বস্তিতে পড়ে।
এ বিষয়ে সালথা উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান বলেন, ‘শ্রেণিকক্ষ সংকটের বিষয়টি আমরা সরেজমিনে দেখে এসেছি। কুমারপুটি বিদ্যালয়সহ যেসব বিদ্যালয়ে নতুন ভবনের প্রয়োজন, সেগুলোর তালিকা তৈরি করে উপজেলা শিক্ষা কমিটির মাধ্যমে শিক্ষা অধিদপ্তরে পাঠানো হবে।’
সালথা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আনিছুর রহমান বালী বলেন, ‘বিদ্যালয় থেকে আবেদন পাওয়ার পর তা শিক্ষা কমিটিতে উত্থাপন করব। কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে নতুন ভবনের জন্য চিঠি পাঠানো হবে।’
আপনার মতামত লিখুন :