রবিবার, ১৩ জুলাই, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


চাঁদপুর প্রতিনিধি

প্রকাশিত: জুলাই ১৩, ২০২৫, ১০:২৪ এএম

বন্ধুর সঙ্গে বাজি ধরে লেকে নেমে তলিয়ে গেল শিক্ষার্থী

চাঁদপুর প্রতিনিধি

প্রকাশিত: জুলাই ১৩, ২০২৫, ১০:২৪ এএম

নিহত আল-আমিন রিমন। ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

নিহত আল-আমিন রিমন। ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

চাঁদপুর শহরের রেলওয়ে লেক থেকে আল-আমিন (১৭) নামে এসএসসি পাস করা এক শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার করেছে স্থানীয়রা।

শনিবার (১২ জুলাই) রাত ১০টার দিকে মুক্তিযোদ্ধা সড়কের লেকপাড় থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

নিহত আল-আমিন রিমন নামে পরিচিত ছিল। সে চাঁদপুর গনি মডেল উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এবারের এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয়। তার বাড়ি সদর উপজেলার রাজরাজেশ্বর ইউনিয়নে। তিনি রাজরাজেশ্বর ইউনিয়ন যুবদলের সাধারণ সম্পাদক রমজান আলী প্রধানিয়ার ছেলে। পরিবারসহ তারা শহরের মমিনপাড়া এলাকায় বসবাস করতেন।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শনিবার বিকেলে আল-আমিন বাসা থেকে বের হয়ে শহরের হাসান আলী হাইস্কুল মাঠসংলগ্ন মুক্তিযুদ্ধের স্মারক ভাস্কর্য ‘অঙ্গীকার’-এর সামনে লেকপাড়ে কয়েকজন সহপাঠীর সঙ্গে আড্ডা দিচ্ছিল। রাত ৯টার দিকে হঠাৎ করে তাকে লেকের পানিতে ভাসতে দেখা যায়। পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে চাঁদপুর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, সহপাঠীদের মধ্যকার কথাবার্তায় জানা গেছে, রিমন নামে এক বন্ধুর সঙ্গে বাজি ধরে লেকের একপাড় থেকে অন্য পাড়ে সাঁতার কেটে যাওয়ার চ্যালেঞ্জ নেয় আল-আমিন। শর্ত ছিল পাড়ি দিতে পারলে সে ৫০০ টাকা পাবে। এর কিছুক্ষণের মধ্যেই তার ভাসমান মরদেহ দেখা যায়।

নিহতের বাবা রমজান আলী প্রধানিয়া দাবি করেছেন, ‘ভুঁইয়া বাড়ির সামনে থেকে আমার ছেলেকে ডেকে নিয়ে যায়। পরে লেকের পাড়ে নিয়ে অজ্ঞাতরা তাকে ছুরিকাঘাত করে। বাঁচার জন্য সে লাফিয়ে লেকের পানিতে পড়ে যায়, কিন্তু তাতেও রক্ষা পায়নি। এটি পরিকল্পিত হত্যা। আমি এই হত্যার বিচার চাই।’

চাঁদপুর সদর মডেল থানার ওসি মো. বাহার মিয়া বলেন, ‘ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায় এবং পরে হাসপাতালে গিয়ে পরিবারের সঙ্গে কথা বলে। বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে আল-আমিনের সঙ্গে থাকা সাতজন সহপাঠীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় আনা হয়েছে। ঘটনার প্রকৃত কারণ জানতে তদন্ত চলছে এবং আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

Shera Lather
Link copied!