ফরিদপুর আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে পাসপোর্ট করতে এসে দুই স্থানীয় দালাল এবং স্বামী-স্ত্রীসহ তিন রোহিঙ্গা সদস্য আটক হয়েছেন।
রোববার (১২ জুলাই) বিকেলে ৩টার দিকে এই ঘটনা ঘটে।
আটককৃত রোহিঙ্গা সদস্যরা হলেন কক্সবাজার জেলার সদর উপজেলার মারিগোলা গ্রামের আবদুস সোবহান (৭৫), তার স্ত্রী হাসিনা বেগম (৪৫) এবং তাদের জামাতা মো. তৈয়ব (৩০)।
এদের মধ্যে আবদুস সোবহান ও হাসিনা বেগম পাসপোর্ট করার জন্য এসেছিলেন, আর তাদের জামাতা তাদের সঙ্গে ছিলেন।
আটককৃত দুই দালাল হলেন, ফরিদপুর শহরের কমলাপুর মহল্লার চাঁনমারি এলাকার সিয়াম আহমেদ (২৭) এবং বটতলা এলাকার রাশেদ খান (৩০)।
জানা গেছে, আবদুস সোবহান ও হাসিনা বেগমের পাসপোর্ট করে দেওয়ার জন্য ওই দুই দালাল ১৫ হাজার টাকার বিনিময়ে চুক্তিবদ্ধ হন। চুক্তির অংশ হিসেবে আবদুস সোবহান দালালদের ১৫ হাজার টাকা অগ্রিম দেন।
রোববার ফরিদপুরে এসে তিনি বাকি ১৫ হাজার টাকা পরিশোধ করেন। তবে টাকা পাওয়ার পর দালালরা পাসপোর্ট প্রক্রিয়া শুরু না করে উল্টো রোহিঙ্গা সদস্যদের হুমকি ও ভয়ভীতি দেখাতে শুরু করেন।
রোহিঙ্গা সদস্যরা এর প্রতিবাদ জানালে একপর্যায়ে দালালরা মো. তৈয়বকে মারপিট করা শুরু করেন। তৈয়ব তখন দৌড়ে পাসপোর্ট অফিসে ঢুকে আনসার সদস্যদের কাছে সাহায্য চান।
ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) শেখ আহাদুজ্জামান জানান, আটককৃত রোহিঙ্গারা যদিও বহু পূর্বে বাংলাদেশে এসেছেন, তবে তারা প্রতারকদের খপ্পরে পড়েছিলেন।
ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসাদুজ্জামান নিশ্চিত করেছেন, স্থানীয় দুই দালাল এবং স্বামী-স্ত্রীসহ তিন রোহিঙ্গা সদস্যকে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে।
তিনি জানান, যদি ওই রোহিঙ্গারা কোনো ক্যাম্পের সদস্য হন, তাহলে তাদের সেখানে ফেরত পাঠানো হবে। আর যদি তারা কোনো ক্যাম্পের সদস্য না হন, তাহলে তাদের নিজ আবাসনস্থলে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হবে।
অন্যদিকে, স্থানীয় দুই দালালের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
আপনার মতামত লিখুন :