টানা পাঁচ মাস বন্ধের পর সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে ফের চাল আমদানি শুরু হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ভোমরা শুল্ক স্টেশনের রাজস্ব কর্মকর্তা রাসেল হোসেন জানান, ২০২৪-২৫ অর্থবছরের ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে ভোমরা বন্দরে চাল আমদানি বন্ধ হয়ে যায়। এর পাঁচ মাস পর গত ১৯ আগস্ট মঙ্গলবার থেকে পুনরায় চাল আমদানি শুরু হয়েছে। প্রথম দিনেই দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের ব্যবসায়ীরা ৯৬০ টন চাল আমদানি করেছেন।
তিনি আরও বলেন, ‘চাল আমদানিতে ব্যবসায়ীরা বেশ আগ্রহী। দিনে দিনে আমদানির পরিমাণ আরো বাড়বে বলে আশা করছি।’ ভোমরা স্থলবন্দরে প্রবেশের অপেক্ষায় চাল ভর্তি অনেক ট্রাক ঘোজাডাঙ্গা বন্দের অপেক্ষায় রয়েছে।
এদিকে, ভোমরা বন্দরে চাল আমদানি শুরু হলেও এর প্রভাব পড়েনি স্থানীয় চালের বাজারে। সাতক্ষীরা শহরের ব্যবসায়ী শহিদুল ইসলাম জানান, ভারতীয় চাল আমদানি হলেও এর প্রভাব এখনো বাজারে পড়েনি। বর্তমান বাজারে খুচরা বাজারে মিনিকেট প্রতি কেজি ৬৮ টাকা, ব্রি ২৮ চাল প্রতি কেজি ৬৩ টাকা, আটাশ চাল ৬৫ টাকা ও মোটা চাল ৫২ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এক থেকে দেড় মাস ধরে এই দরে চাল বিক্রি হচ্ছে বলেও তিনি জানিয়েছেন।
ভোমরা বন্দরের আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান ইছামতী ফুডস ও সিএণ্ডএফ এজেন্ট সুলতান এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী ভোমরা ইউপি চেয়ারম্যান ইসরাইল গাজী জানান, গত বুধবার থেকে তার ভারতীয় পাঁচটি ট্রাক ভর্তি ২০০ মেঃটন মোটা চাল আমদানির জন্য ঘোজাডাঙা বন্দরে অপেক্ষায় ছিল। সোমবার সন্ধ্যায় ওই চাল ভোমরা বন্দর থেকে ছাড় করান তিনি।
এ ছাড়া আরো ১৯টি ভারতীয় ট্রাকে আরো ৭৫০ মে. টন চাল আমদানি করা হয়েছে। আরো ১০১ ট্রাক চাল আমদানির অপেক্ষায় ঘোজাডাঙা বন্দরে অপেক্ষা করছে। তবে সরকারিভাবে এখনো আমদানিকৃত মোট চালের তালিকা প্রকাশ করা হয়নি।
তিনি বলেন, খুচরা বাজারে মিনিকেট প্রতি কেজি ৬৮ টাকা, ব্রি ২৮ চাল প্রতি কেজি ৬২ টাকা, আটাশ চাল ৬৫ টাকা ও মোটা চাল ৫২ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এক থেকে দেড় মাস ধরে এই দরে চাল বিক্রি হচ্ছে বলেও তিনি জানিয়েছেন।
সাতক্ষীরা জেলা কৃষি বিপণন কর্মকর্তা এস,এম আব্দুল্লাহ আশা প্রকাশ করে বলেন, দুই একদিনের মধ্যে বাজারে চাল আমদানির প্রভাব পড়বে। এর ফলে চালের দাম কমবে।
ভোমরা স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানিকারক আক্তার হোসেন পানি বলেন, দীর্ঘদিন পরে হলেও বন্দরে চাল আমদানি হচ্ছে ,এটা ভালো। বন্দরের ব্যবসা আগের মতো জমজমাট হোক এটা আমাদের সকল ব্যবসায়ীদের চাওয়া।
বন্দরের একাধিক ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, দীর্ঘ ছয় মাস পর চাল আমদানি করতে পেরে আমরা আনন্দিত।
তবে, সরকারি দপ্তরের আইপি (আমদানির অনুমতি) বিড়ম্বনায় চাল ভর্তি বহু ট্রাক ভারতের ঘোজাডাঙ্গা বন্দরে আটকে রয়েছে। তারা বলেন, কাগজপত্রের বিষয়টি দ্রুত নিষ্পত্তি হলে চাল আমদানি বৃদ্ধি পেতো। ঘোজাডাঙায় আটকে থাকা ট্রাক প্রতি খরচের পরিমাণও কম হতো। তাতে ব্যবসায়ীরা লাভবান হতো।
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন