সোমবার, ২৫ আগস্ট, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


বড়াইগ্রাম (নাটোর) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: আগস্ট ২৪, ২০২৫, ০৬:৪৩ পিএম

হিন্দু সেজে কীর্তনে এসে স্বর্ণের চেইন ছিনতাই, আটক ৩ নারী

বড়াইগ্রাম (নাটোর) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: আগস্ট ২৪, ২০২৫, ০৬:৪৩ পিএম

স্বর্ণের চেইন ছিনতাইয়ের অভিযোগে তিন জনকে আটক করা হয়।  ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

স্বর্ণের চেইন ছিনতাইয়ের অভিযোগে তিন জনকে আটক করা হয়। ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

নাটোরের বড়াইগ্রামে হাতে শাঁখা ও সিঁথিতে সিঁদুর পরে হিন্দু সেজে কীর্তন অনুষ্ঠানে এসে নারীদের গলার স্বর্ণের চেইন ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগে তিন নারীকে আটক করা হয়েছে।

শনিবার (২৩ আগস্ট) সন্ধ্যায় উপজেলার লক্ষ্মীকূল বাজারের শ্রী শ্রী কালী মাতার মন্দিরে মহাহরিনাম ও লীলা কীর্তন অনুষ্ঠানে থেকে তাদের আটক করে পুলিশ।

আটককৃত প্রতারক ওই তিন নারী হলেন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলার ধরমন্ডল গ্রামের আব্দুর রহমানের মেয়ে ও দুলাল মিয়ার স্ত্রী শামসুন্নাহান বেগম (২৮), একই গ্রামের কাজল হোসেনের মেয়ে ও আরিছ মিয়ার স্ত্রী লিপি আক্তার (৩০) এবং আবু মিয়ার মেয়ে ও হুমায়ুন কবিরের স্ত্রী রোজিনা খাতুন (২৬)। তাদেরকে রোববার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে নাটোর জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, দিনাজপুরের বিরামপুর থেকে চায়না রানী (৫৫) কীর্তন উপলক্ষ্যে বড়াইগ্রাম পৌরসভার লক্ষ্মীকূল মহল্লায় মেয়ে জামাই বাড়ি বেড়াতে আসেন। গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় লক্ষ্মীকূল বাজারের শ্রী শ্রী কালী মাতার মন্দিরে মহাহরিনাম ও লীলা কীর্তন অনুষ্ঠান চলছিল। কীর্তন অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন চায়না রানী। এ সময় শাঁখা-সিঁদুর পড়া তিন জন তার পাশে বসেন। কীর্তন জমে উঠলে তিন নারীদের একজন চায়না রানীকে জড়িয়ে ধরেন। একপর্যায়ে কৌশলে গলায় থাকা স্বর্ণের চেইন খুলে নেন। বিষয়টি বুঝতে পেরে চায়না রানী পাশে থাকা মেয়ে জামাই মন্টু কুমার কুন্ডুকে জানান। তিনি স্থানীয়দের মাধ্যমে ওই তিন নারীকে আটক করেন। পরে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। খবর পেয়ে পুলিশ এসে এক নারীর কাছ থেকে স্বর্ণের চেইনটি উদ্ধার করে।

বড়াইগ্রাম থানার ওসি গোলাম সারোয়ার হোসেন জানান, তারা পরিকল্পিতভাবে হিন্দু সেজেছে এবং কীর্তন অনুষ্ঠানে এসে গলায় সোনার চেইন আছে এমন হিন্দু নারীদের টার্গেট করে পাশে বসে। অতঃপর কীর্তন চলাকালে সাধারণ ভক্তদের মতো তারাও তাদের টার্গেট করা আগত হিন্দু নারীদের জড়িয়ে ধরে হরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ বলে কান্নাকাটি করতে থাকে। ততক্ষণে প্রতারকরা কৌশলে সোনার চেইন খুলে নেয়। এরা সংঘবদ্ধ ও আন্তঃজেলা নারী প্রতারক।

তাদের সাথে আরও কারা জড়িত আছে তা অনুসন্ধান করা হচ্ছে। আটককৃত ওই তিন নারীর বিরুদ্ধে মামলা রুজু করে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!