একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির সময় অতিরিক্ত ফি আদায়ের প্রতিবাদ করায় নওগাঁ সরকারি কলেজের ছাত্রদল নেতা জুনায়েদ হোসেন জুনকে মাইকিং করে মারধরের অভিযোগ উঠেছে কলেজ প্রশাসনের বিরুদ্ধে।
রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) কলেজ চত্বরে এ ঘটনা ঘটে।
জুনায়েদ হোসেন জুন নওগাঁ সরকারি কলেজ ছাত্রদলের আহ্বায়ক। তিনি অভিযোগ করেন, ‘পার্শ্ববর্তী বগুড়া ও জয়পুরহাটের কলেজের তুলনায় নওগাঁ সরকারি কলেজে এক থেকে দেড় হাজার টাকা বেশি ভর্তি ফি নেওয়া হচ্ছে। অথচ শিক্ষার্থীদের জন্য কোনো সুবিধা নেই বললেই চলে।’
তিনি বলেন, ‘সাধারণ শিক্ষার্থীদের স্বার্থ বিবেচনা করে আমি কলেজ প্রশাসনকে ফি কমানোর অনুরোধ করি। এ ছাড়া চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত না আসা পর্যন্ত ভর্তি প্রক্রিয়া স্থগিত রাখার অনুরোধ করি। এ বিষয়ে প্রশাসন ক্ষিপ্ত হয়ে মাইকিং করে কর্মচারীদের ডেকে আমাকে মারধর করেছে। প্রিন্সিপাল ও ভাইস প্রিন্সিপালের নির্দেশে সংঘবদ্ধভাবে একটি চক্র আমাকে বেধড়কভাবে মারধর করেছে। আমি চাই, এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করা হোক এবং সংশ্লিষ্ট সকলকে শাস্তি দেওয়া হোক।’
ছাত্রদল নেতাদের অভিযোগ, ভর্তির অতিরিক্ত ফি শিক্ষার্থীদের ওপর আর্থিক বোঝা সৃষ্টি করছে। তাদের দাবি, শিক্ষার্থীরা ন্যায্য ফি দিতে পারলে পড়াশোনা সহজ হবে এবং শিক্ষার মানও বৃদ্ধি পাবে। তারা সতর্ক করেছেন, যদি কলেজ কর্তৃপক্ষ তাদের দাবির প্রতি মনোযোগ না দেয়, তাহলে আন্দোলন আরও তীব্র আকার নেবে।
অভিযোগ অস্বীকার করে নওগাঁ সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক সামসুল হক বলেন, ‘আমার কোনো নির্দেশে হামলা করা হয়নি। জুনায়েদ সকালে কলেজের প্রতিটি কক্ষে ঘুরে ভর্তির কার্যক্রম বন্ধ রাখার চেষ্টা করছিল। আমি যখন দেখি, সে কম্পিউটার কক্ষে বসে আছে, তখন তাকে রুম থেকে বের হওয়ার নির্দেশ দিই। সে তা মানেনি। ওই কক্ষে মূল্যবান যন্ত্রপাতি থাকায় উত্তেজনার কারণে কর্মচারীদের সঙ্গে হাতাহাতি হয়েছে। এই বিষয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে এবং রিপোর্টের ভিত্তিতে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
এ ঘটনায় কলেজে উত্তেজনা বিরাজ করছে। শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা আশা করছেন, প্রশাসন দ্রুত ঘটনা খতিয়ে দেখবে এবং অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন