যুক্তরাষ্ট্র থেকে গম আমদানিতে কোনো ধরনের অনিয়ম, অতিরিক্ত দাম বা বিশেষ সুবিধা দেওয়া হয়নি বলে জানিয়েছে খাদ্য মন্ত্রণালয়। গতকাল মঙ্গলবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে মন্ত্রণালয় জানায়, সম্প্রতি একটি জাতীয় দৈনিকে ‘চুক্তির কারণে বেশি দামে যুক্তরাষ্ট্রের গম কিনছে বাংলাদেশ’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। সেখানে সরকার থেকে সরকার (জি-টু-জি) পদ্ধতিতে গম আমদানির প্রক্রিয়া নিয়ে বিভ্রান্তিকর তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছে। খাদ্য মন্ত্রণালয়ের মতে, ওই প্রতিবেদন পাঠকদের ভুল ধারণা দিতে পারে। তাই বিষয়টির সঠিক তথ্য তুলে ধরা প্রয়োজন বলে জানিয়েছে মন্ত্রণালয়।
খাদ্য মন্ত্রণালয়ের ব্যাখ্যায় বলা হয়, বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্র সরকারের মধ্যে স্বাক্ষরিত সমঝোতা স্মারকের আওতায় জি-টু-জি পদ্ধতিতে গম আমদানি করা হচ্ছে। প্রথম ধাপে ২ লাখ ২০ হাজার মেট্রিক টন গম প্রতি টন ৩০২.৭৫ মার্কিন ডলারে এবং দ্বিতীয় ধাপে একই পরিমাণ গম প্রতি টন ৩০৮ ডলারে ক্রয়ের চুক্তি সম্পন্ন হয়েছে।
মন্ত্রণালয় জানায়, প্রতিবেদনে যুক্তরাষ্ট্রের গমের দামের সঙ্গে রাশিয়ার গমের দামের তুলনা করা হয়েছে, যা সম্পূর্ণ বিভ্রান্তিকর। কারণ যুক্তরাষ্ট্রের গমের দামে চট্টগ্রাম ও মোংলা বন্দরে পৌঁছানো পর্যন্ত সব ব্যয় যেমনÑ পরিবহন, বিমা, আনলোডিং ও অন্যান্য খরচ অন্তর্ভুক্ত থাকে। অন্যদিকে রাশিয়ার দামে কেবল দেশটির বন্দর পর্যন্ত খরচ হিসাব করা হয়।
বাস্তব তথ্যে দেখা যায়, বর্তমানে রাশিয়ার গমের আন্তর্জাতিক বাজারমূল্য প্রতি মেট্রিক টন প্রায় ২৩০ মার্কিন ডলার আর যুক্তরাষ্ট্রের গমের দাম ২৩২ ডলার, অর্থাৎ পার্থক্য মাত্র ২ ডলার। মানের দিক থেকেও যুক্তরাষ্ট্রের গম উন্নত, যেখানে প্রোটিনের পরিমাণ ১৩.৫ শতাংশ আর রাশিয়ার গমে গড়ে ১১ শতাংশ।
মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, উন্নত মান, পুষ্টিগুণ ও আন্তর্জাতিক পরিবহন ব্যয় বিবেচনায় যুক্তরাষ্ট্রের গমের দাম কিছুটা বেশি হওয়া যৌক্তিক ও বাজারসম্মত। পুরো আমদানির প্রক্রিয়া স্বচ্ছ, প্রতিযোগিতামূলক এবং সরকার অনুমোদিত আন্তর্জাতিক মানদ- অনুসারে সম্পন্ন হয়েছে বলেও উল্লেখ করেছে খাদ্য মন্ত্রণালয়।

সর্বশেষ খবর পেতে রুপালী বাংলাদেশের গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন